ভোটের আগে অনুব্রত-গড় বীরভূমে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে জেলার পাঁচটি সতীপীঠের সার্বিক উন্নয়নে জোর দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই মন্দিরগুলির উন্নয়নে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় উন্নয়নমূলক কাজের তালিকা রাজ্য সরকারের কাছে পেশ করেছে বীরভূম জেলা প্রশাসন।
এবার সেই মোতাবেক রাজ্য সরকার সতীপীঠগুলির উন্নয়নে অর্থবরাদ্দ করায় সেখানে দ্রুত কাজ করার তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। সোমবার এই সংক্রান্ত একটি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয় সিউড়ি প্রশাসনিক ভবনে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়, বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, বেশ কয়েকটি পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের অন্যান্য সরকারি আধিকারিকরা।
মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের পাঁচটি সতীপীঠ অর্থাৎ নলহাটির নলাটেশ্বরী মন্দির, বক্রেশ্বর উষ্ণ প্রস্রবণ, সাঁইথিয়ার নন্দকেশ্বরীতলা মন্দির, লাভপুরের ফুল্লরা মন্দির এবং বোলপুরের কঙ্কালীতলায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ হতে চলেছে। বক্রেশ্বরে যেমন শ্মশানঘাট, উষ্ণ প্রস্রবণ এলাকা, স্নানাগার, মন্দির চত্বর, রাস্তাঘাট তেমনই ফুল্লরা মন্দির এবং কঙ্কালীতলার রাস্তাঘাট, পুণ্যার্থীদের জন্য পানীয় জল, ভোগ মন্দির সহ একাধিক কাজে বরাদ্দ হয়েছে এই অর্থ।
জানা গিয়েছে, নলহাটির নলাটেশ্বরী মন্দিরের জন্য বরাদ্দ হয়েছে এক কোটি টাকা, বক্রেশ্বর সতীপীঠের জন্য বরাদ্দ তিন কোটি, সাঁইথিয়া নন্দিকেশ্বরীতলার জন্য ১০লক্ষ ৩৯হাজার ৫৯৯টাকা, ফুল্লরা মন্দিরের জন্য বরাদ্দ এক কোটি টাকা এবং কঙ্কালীতলা মন্দিরের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩৫লক্ষ ৫৪হাজার ৮৫১টাকা। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রাথমিক পর্যায়ে পর্যটন দফতরের উদ্যোগে ওই পাঁচ সতীপীঠ উন্নয়নের কাজ শুরু হতে চলেছে।
পরবর্তী পর্যায়ে জেলার পাথরচাপুড়ি, জয়দেব, নলহাটি পীরতলা, দুবরাজপুরের মামা-ভাগ্নে পাহাড় প্রভৃতি বেশ কিছু পর্যটন কেন্দ্র ঢেলে সাজানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই তাই নিয়ে জেলা প্রশাসনের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনাও হয়েছে। একই সঙ্গে বোলপুরের বল্লভপুরডাঙা গ্রামকে মডেল তৈরির পর জেলার বেশ কিছু গ্রামকে মডেল গ্রাম তৈরির ভাবনা রয়েছে জেলা প্রশাসনের।