ঘূর্ণিঝড় যশের তাণ্ডবে অবস্থা শোচনীয় উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। তাই তাঁদের সাহায্যার্থে ‘দুয়ারে ত্রাণ’ কর্মসূচি চালু করে রাজ্য সরকার। এবার সেই ‘দুয়ারে ত্রাণ’-এ প্রায় ৩ লক্ষ ৮১ হাজার পরিবার ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। ১৮ জুন শেষ আবেদন জমা নেওয়া হয়েছে। ১ জুলাই থেকে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে রাজ্য সরকার প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থদের কাছে টাকা পৌঁছে দেবে।
আবেদনে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের সমুদ্র উপকূলবর্তী মৎস্যবন্দরগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৎস্যজীবীদের অবস্থা সবথেকে খারাপ। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা দক্ষিণ ২৪ পরগনার। ৫ হাজার ১৮৩টি নৌকা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্যজীবীরা। মাছ ধরার জাল নষ্ট হয়েছে ৫ হাজার ৩৯৭টি। মাছ ধরে রাখার জন্য ৮ হাজার ৩৯৮টি বড় বড় হাঁড়ি সমুদ্রের জলে ভেসে গিয়েছে। মাছ চাষ করা হয়েছিল যে-সব পুকুর বা ভেড়িতে তেমন ৮ হাজার ৬১৮টি জলাশয় সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত। সূত্রের খবর, শুধু দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩ হাজার ৫৫৫টি নৌকা নষ্ট হয়েছে।
ঠিক হয়েছে, সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত নৌকার জন্য রাজ্য সরকার ক্ষতিপূরণ দেবে ১০ হাজার টাকা। আংশিক ক্ষতি হলে দেবে ৫ হাজার টাকা । জালের জন্য দেওয়া হবে ২ হাজার ৬০০ টাকা। আর একটি হাঁড়ি কেনার জন্য দেওয়া হবে ৬০০ টাকা। আবেদনপত্রের তথ্য অনুযারী ১ লক্ষ ৪২ হাজার বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে। ঝড়ে মূলত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বাংলার ৭টি জেলা। সবচেয়ে বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়, ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৩৭১টি। এরপরেই রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলায় আবেদনপত্র জমা পড়েছে ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৬৫১টি। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় ৫১ হাজার ৭৮৪টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার আবেদনপত্র জমা দিয়েছে।