বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর এখনও দু’মাস হয়নি, আসানসোল শিল্পাঞ্চলে বিজেপিতে বড়সড় ভাঙন ধরাল তৃণমূল। আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে বেশ বড় সংখ্যায় কর্মী সমেত একঝাঁক বিজেপি নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বিজেপিছেড়ে আসা নেতাদের মধ্যে রয়েছেন দলের জেলা সম্পাদক মদনমোহন চৌবে, বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলা বুদ্ধিজীবী সেলের কনভেনার তথা আরএসএসের ‘সম্পর্ক প্রমুখ’ দেবাশিস সরকার এবং দলের কয়েক জন মণ্ডল সভাপতি। তাঁদের মধ্যে মদনমোহন চৌবে ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে আসানসোল উত্তর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। ঘটনাচক্রে, এ দিন মদনমোহন চৌবেদের যোগদান-পর্বে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আইন ও পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক।
এ দিনের যোগদান-পর্বে মলয় ঘটক ছাড়াও তৃণমূলের তরফে উপস্থিত ছিলেন আসানসোলের পুর প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, প্রশাসক বোর্ডের সদস্য অভিজিৎ ঘটক, আসানসোল উত্তরে দলের ব্লক সভাপতি গুরুদাস চট্টোপাধ্যায়।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে মদনমোহন চৌবে বলেন, ‘গত ২৮ বছর ধরে বিজেপি করেছি। কিন্তু এখনকার মতো দলের এতটা খারাপ অবস্থা কোনও দিন ছিল না। এমন সব প্রার্থী দাঁড় করানো হল, যাঁদের মানুষ মেনে নেননি।’ সেই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘আসানসোলের সাংসদের দেখা পাওয়া যায় না। পেট্রোপণ্য সমেত সব জিনিসের আকাশছোঁয়া দাম। তাই, আর থাকতে পারলাম না। দমবন্ধ হয়ে আসছিল। গত এক মাস ধরে দলের কোনও সভায় আমাকে ডাকাও হয়নি।’
রাজ্যের মন্ত্রী তথা আসানসোল উত্তরের বিধায়ক মলয় ঘটক বলেন, ‘যাঁরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন, তাঁরা কিন্তু কেউ বিজেপিতে নতুন নন, সবাই পুরোনো।’ এর পরই গেরুয়া শিবিরের উদ্দেশ্যে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে মলয় বলেন, ‘আগামী দিনে আসানসোলে বিজেপির পার্টি অফিসে বসা তো দূরের কথা, পার্টি অফিসের দরজার তালা খোলার লোকও থাকবে না!’