গোটা দেশজুড়ে মার্চ-এপ্রিল-মে, এই তিনমাস ভয়ঙ্কর সংক্রমণের পর বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণ নেমেছিল ৫০ হাজারের নিচে। এমনকি করোনার তৃতীয় ঢেউ, ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের চোখ রাঙানির মধ্যেও যা কম থাকায় সাময়িক স্বস্তি দিয়েছিল দেশবাসীকে। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় ফের বাড়ল করোনা সংক্রমণ। তবে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিয়ে নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেস। পাশাপাশি সুস্থতার হার ৯৬.৭৫ শতাংশ।
রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫০ হাজার ৪০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। দিল্লী, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটকে আগের তুলনায় সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এই নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ কোটি ০২ লক্ষ ৩৩ হাজার ১৮৩। একদিনে মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ১২৫৮ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার ৭৫১ জন।
তবে মানুষ নতুন করে গৃহবন্দী হওয়ায় ধীরে ধীরে কমছে অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনার চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কমে হয়েছে ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪০৩ জন। সেই সঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়েও শক্তি জোগাচ্ছেন করোনা জয়ীরা। পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৫৭ হাজার ৯৪৪ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ২ কোটি ৯২ লক্ষ ৫১ হাজার ২৯ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন।
গণ টিকাকরণে আগের তুলনায় বর্তমানে গতি বাড়িয়ে সংক্রমণ ঠেকানোর প্রয়াস জারি রয়েছে দেশজুড়ে। ইতিমধ্যেই শোনা গিয়েছে, আগামী মাসের শুরুতেই ভারতীয় বাজারে আসবে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা। পাশাপাশি করোনার তৃতীয় ঢেউকে রুখে দিতে ১৮ বছরের কম বয়সীদেরও যাতে ভ্যাকসিন দেওয়া যায়, তার জন্যও এখন জোরকদমে চলছে ট্রায়াল। এখনও পর্যন্ত ভারতে টিকা পেয়েছেন সাড়ে ৩২ কোটি ১৭ লক্ষের বেশি মানুষ।