কেন্দ্রীয় সংস্থার উদাসীনতা এবং ‘গাফিলতি’র জেরে রীতিমতো আতান্তরে তিন লক্ষাধিক অবসরপ্রাপ্ত রাজ্য সরকারি কর্মী। দেড় বছরের বেশি সময় ধরে হকের আর্থিক পাওনা থেকে বঞ্চিত সংশ্লিষ্ট পেনশনভোগীরা।
২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে রাজ্যে ষষ্ঠ বেতন কমিশন কার্যকর হয়েছে। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সংস্থা এজি বেঙ্গলের নিষ্ক্রিয়তায় এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারের মোট অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের ৫০ শতাংশের বেশি বর্ধিত পেনশন পাচ্ছেন না। শুধু তাই নয়, গত ১ জানুয়ারি ২০২১ থেকে অবসরপ্রাপ্তদের জন্য মূল পেনশনের উপর অতিরিক্ত ৩ শতাংশ হারে ডিয়ারনেস অ্যালাওয়েন্স (ডিআর) দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এজি বেঙ্গল প্রয়োজনীয় সরকারি কাগজপত্রের কাজ শেষ না করায় সেই বাড়তি টাকাও পাচ্ছেন না প্রায় ৩ লক্ষের বেশি পেনশনভোগী।
এ প্রসঙ্গে অর্থদপ্তরের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘২০২০ সালের গোড়া থেকেই এই সমস্যা চলছে। রাজ্যের সমস্ত দপ্তরের অবসরপ্রাপ্তদের সার্ভিসবুক রিভাইস করে বিভাগীয় প্রধানের কাছে পেনশন চালুর জন্য পাঠানো হয়। তাঁরা সেই কাগজপত্র চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এজি বেঙ্গলে পাঠান। সেখান থেকে তা সংশ্লিষ্ট ট্রেজারিতে চলে গেলে পেনশন চালু হয়ে যায়।
বর্ধিত পেনশন কিংবা ডিআর চালুর জন্যও এজি’র তরফে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট ট্রেজারিতে পাঠাতে হয়। অর্থদপ্তরের ওই কর্তার দাবি, গত দেড় বছরে প্রক্রিয়াটা কার্যত থমকে। বিষয়টি নিয়ে এজি বেঙ্গলের কাছে নবান্নের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় এই সংস্থার তরফে জানান হয়েছে, করোনার জেরে তাঁদের অফিসে কর্মী সংখ্যা ১০-২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। ফলে ফাইল ক্লিয়ার হতে সময় লাগছে। স্বভাবতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই ৩ লক্ষের বেশি পেনশনভোগীর বর্ধিত পেনশন প্রাপ্তি আরও বিলম্বিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। করোনাকালে বাড়তি কিছু টাকা পাওয়ার সুযোগ থাকলেও তা পাচ্ছেন না ‘সরকারি’ প্রবীণ নাগরিকরা। নেপথ্যে, কেন্দ্রের নিষ্ক্রিয়তা।