২০২২ সালের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে মুখ করেই এগোতে চাইছে কংগ্রেস। দলের বর্ষীয়ান নেতার মন্তব্যে সেই জল্পনাই উস্কে গেল। উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সলমন খুরশিদ জানিয়ে দিলেন, উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের ‘ক্যাপ্টেন’ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীই। এরপরই যোগীর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হিসেবে প্রিয়াঙ্কার নাম নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের সাধারণ সম্পাদক করে পাঠিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তারপর কালক্রমে তিনি পেয়েছেন গোটা উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব। গত ২ বছরে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মূলত উত্তরপ্রদেশ কেন্দ্রিক রাজনীতি করেছেন। যে কোনও ছোটখাট ইস্যুতে আক্রমণ করেছেন যোগী সরকারকে। কোভিড পরিস্থিতির আগে বহুবার গিয়েছেন সেরাজ্যে। একাধিকবার মাঠে নেমে সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। যদিও তাতে দলের ভোটভাগ্যে বড় বেশি পরিবর্তন হয়নি। সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে চতুর্থ স্থানেই শেষ করেছে হাত শিবির। যদিও কংগ্রেসের দাবি, গত কয়েকটি নির্বাচনের মধ্যে এটিই উত্তরপ্রদেশে তাঁদের সেরা পারফরম্যান্স। তাছাড়া দলের ভোট শতাংশও বেড়েছে।
সলমন খুরশিদের দাবি, প্রিয়াঙ্কার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে কংগ্রেসই বিজেপির প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠবে। তিনি বলছেন, তাঁর দল কোনও জোটের অপেক্ষায় থাকবে না। নিজেদের যা শক্তি আছে, তাই নিয়েই ভোটে লড়বে। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা বলছেন, ‘প্রিয়াঙ্কাই উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের ক্যাপ্টেন। তাঁর দারুণ ভাবমূর্তি। পাশাপাশি যোগী আদিত্যনাথ এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ছবি রাখলেই বুঝতে পারবেন, কে ভাল’। খুরশিদের আশা, শীঘ্রই প্রিয়াঙ্কা তাঁদের নিজের সিদ্ধান্ত জানাবেন। তবে, দলের কর্মীদের কাছে যে তিনিই ক্যাপ্টেন, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা। যদিও, শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে প্রিয়াঙ্কা নামবেন কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রিয়াঙ্কা নিজেই।