করোনা ভ্যাকসিনের ২ কোটি ডোজ এখনও পর্যন্ত দিয়েছে রাজ্য সরকার। আগামীকাল থেকে ফের ৪ লক্ষ করে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। অগ্রাধিকার দেওয়া হবে ১২ বছর পর্যন্ত বয়সী বাচ্চার মায়েদের টিকাকরণে। নবান্নে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মমতা বলেন, করোনা ভ্যাকসিনের ২ কোটি ডোজ দিয়েছে রাজ্য সরকার। ৩৩ লক্ষ সুপার স্প্রেডারকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, কেন্দ্র থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন পেলে, বেসরকারি ক্ষেত্রগুলিকে বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া যেত। তিনি বলেন, আমরা ৩ কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছিলাম, কিন্তু পাইনি। ৩ কোটি ভ্যাকসিন পেলে আমরা ২ কোটি টিকা নিতাম, ১ কোটি ভ্যাকসিন বেসরকারি ক্ষেত্রে দেওয়া হত। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, কাল থেকে ফের ৪ লক্ষ করে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ১২ বছর পর্যন্ত বয়সী বাচ্চার মায়েদের টিকাকরণে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
বুধবার মমতা জানান, প্রধানমন্ত্রী কোভ্যাক্সিন নেওয়ার কথা বলেছিলেন। অনেক পড়ুয়া কোভ্যাক্সিন নিয়েছেন, কিন্তু বিদেশে যেতে পারছেন না। কোভ্যাক্সিনকে যাতে সারা পৃথিবী গ্রাহ্য করে, সেই দিকটি দেখুক কেন্দ্র। এর আগে, মুখ্যসচিব জানান, দ্বিতীয় ঢেউ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তিনি বলেন, রাজ্যজুড়ে ২৫০টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার নীতি বদলানোয় ভ্যাকসিনের জোগান কমেছিল। তৃতীয় ঢেউ আসার আগে শিশুদের চিকিৎসায় আরও জোর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বলেন, জুলাইয়ের মধ্যে শিশুদের জন্য বেডের সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্য। জুলাইয়ের মধ্যে শিশুদের জন্য ১৩০০ আইসিইউ হবে। অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, করোনা আবহে উপ-নির্বাচন নিয়েও অবস্থান স্পষ্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, এখন করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এখন উপনির্বাচন করতে পারলে ভাল। প্রচারের জন্য ৭ দিন দিলেই হবে। এই প্রেক্ষিতে দীর্ঘ বিধানসভা ভোটের কারণেই যে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে, সেই দাবিতে নিয়ে ফের একবার সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ৮ দফায় ভোটের সময় সব থেকে বেশি সংক্রমণ রাজ্যে। বিধানসভা ভোটের সময় ৩৩ শতাংশ সংক্রমণ বৃদ্ধি হয়েছে বাংলায়।