বাংলায় একুশের যুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দেওয়ার পরই সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তাঁর সম্ভাব্য গতিবিধি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। যার ফলস্বরূপ কিছুদিন আগেই টুইটারে দেখা গিয়েছিল নতুন ট্রেন্ডিং — হ্যাশট্যাগ ইন্ডিয়া ওয়ান্টস মমতাদি! অর্থাৎ ভারত মমতাদিকেই চায়। তৃণমূলেরও লক্ষ্য যে এখন দিল্লী বিজয়ই, তা স্পষ্ট জাতীয় স্তরে তাদের গতিবিধি দেখেই। এমতাবস্থায় বুধবার সকালে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের দিল্লী ৬ নম্বর জনপথ রোডের বাড়িতে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূলের ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর। প্রায় একঘন্টা পাওয়ারের বাড়িতে ছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাষ্ট্রমঞ্চের ছাতার তলায় এনসিপি-সহ অন্যান্য দলের যে বৈঠক হয়েছিল তাতে প্রশান্ত কিশোর হাজির ছিলেন না। কিন্তু তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পাওয়ারের বাসভবনে প্রশান্ত কিশোরের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে ২৪-র মহারণের প্রস্তুতিতে সলতে পাকানো কাজটি তিনিই করবেন। তবে, কোনও ফ্রন্ট নয়, মমতা-পাওয়ার নেতৃত্ব দেবেন বিজেপি বিরোধী শক্তির। আর সেই সেতুবন্ধনের কাজটা করবেন প্রশান্ত কিশোর, বার্তা খানিকটা এমনই। উল্লেখ্য, এই নিয়ে তৃতীয় বার পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করলেন প্রশান্ত কিশোর।
রাজনৈতিক মহল বলছে, এই ঘন ঘন সাক্ষাতের তিনটি তাৎপর্য আছে। এক, ২০২৪-র লোকসভা ভোটের লড়াইয়ের প্রস্তুতিটা যে এখন থেকেই চলছে তা সাধারণ মানুষকে বুঝিয়ে দিতে চাইছেন প্রশান্ত কিশোর। দুই, প্রশান্ত বুঝিয়ে দিতে চাইছেন যে, লড়াইয়ের ময়দানে বিজেপি একক শক্তি নয়, তাকে যথেষ্ট বেগ দেওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে অন্য একটি অক্ষশক্তি। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের জয় এই অক্ষশক্তির ভরকেন্দ্র। তৃতীয়ত, বার্তা দেওয়া হচ্ছে কংগ্রেসকেও। কংগ্রেসকে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাদের জন্য দরজা খোলা, কিন্তু তারা না থাকলেও লড়াই বন্ধ হবে না।