তাঁর আমলে বারবারই প্রশ্নের মুখে পড়েছে উত্তরপ্রদেশের নারী সুরক্ষা। এখন গোদের ওপর বিষফোঁড়ার সামিল করোনা মোকাবিলায় তাঁর সরকারের ব্যর্থতা। এর পাশাপাশি দলের অন্দরেও তাঁকে নিয়ে হাজার অসন্তোষ। রাজ্যে সদ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনেও হার হয়েছে পদ্মের। তবে এর পরেও উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতা ধরে রাখতে যোগী আদিত্যনাথের ওপরই বাজি ধরেছে বিজেপি। যদিও তাঁকে চাপে রাখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন আমলা এ কে শর্মাকে উত্তরপ্রদেশ বিজেপির সহ-সভাপতি পদে নিয়োগ করেছে দল। আর তা নিয়েই স্নায়ুর যুদ্ধ চলছে যোগী ও মোদীর।
রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, মোদী বনাম যোগীর এই স্নায়ুযুদ্ধ বিভিন্ন ভাবে সামনে চলে আসছে। মোদী তাঁর পছন্দের প্রাক্তন আমলা এ কে শর্মা চাইলেও রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী করতে পারেননি যোগীর আপত্তিতে। কিন্তু তাঁকে রাজ্য বিজেপির সহসভাপতি করে পাঠানো হয়েছে। দলীয় সূত্র বলছে, সরাসরি মোদীর প্রতিনিধি হিসেবে সেখানকার বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে কাজকর্মের দেখভাল করবেন এ কে শর্মাই। এরই মধ্যে নাটকীয় ভাবে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী তথা দলের প্রবীণ নেতা স্বামীপ্রসাদ মৌর্য কার্যত বোমা ফাটিয়ে বলেছেন, রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা স্থির হবে বিধানসভা ভোটের পর। স্থির করবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
তাঁর এই মন্তব্য যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলেছে যোগীকে। যদিও এ কে শর্মা অত্যন্ত বিনীত থেকে বোঝাতে চাইছেন যে তিনি যোগীর অনুগত এবং তাঁর নেতৃত্বেই লড়বেন। যোগীর নেতৃত্বে বিজেপি যে ২০১৭ সালের থেকেও ভাল ফল করবে সে কথাও তিনি বিজেপি রাজ্যসভাপতি স্বতন্ত্র দেব সিংহকে লেখা একটি চিঠিতে জানিয়েছেন। কিন্তু তাতে যোগীর ওপরে চাপ খুব একটা কমছে না বলেই মনে করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যে টানাপোড়েন অব্যাহত। আর এই টানাপোড়েনের মধ্যে সপা-সহ রাজ্যের বিরোধী দলগুলির আশা, ২০২২-এর বিধানসভা ভোটে ভিতর থেকে দুর্বল হচ্ছে বিজেপি।