রাজ্যে স্কিল প্রশিক্ষণে আরও উন্নতি করতে বিশেষ কমিটি গড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই কমিটি করা হয়েছে। স্কিল বাড়ানোর ক্ষেত্রে কিভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া যায় এবং সেই প্রশিক্ষণের পর তাঁদের প্লেসমেন্টের ব্যবস্থা করা, এই দুই বিষয়ে কমিটি ১৫ দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেবে।
সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানান, দেশের মধ্যে স্কিল ডেভেলপমেন্ট রাজ্য প্রথম হয়েছে। জাতীয় স্তরে ১০টি সেরা আইটিআই-এর মধ্যে রাজ্যের ছ’টি আইটিআই রয়েছে। দেশের মধ্যে সেরা আইটিআই হয়েছে নাকাশিপাড়া গভর্মেন্ট আইটিআই। এছাড়াও চতুর্থ স্থানে রয়েছে কালিয়াগঞ্জ, পঞ্চম স্থানে খাতরা, ষষ্ঠ স্থানে পূর্বস্থলী, অষ্টম স্থানে নয়াগ্রাম, এবং দশম স্থানে রয়েছে দুবরাজপুর সরকারি আইটিআই। এদিন মুখ্যমন্ত্রী স্কিল ডেভেলপমেন্ট নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে ছিলেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা এবং অন্যান্য শীর্ষকর্তারা। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, শুধুমাত্র আইটিআই নয়, রাজ্যের ছেলেমেয়েরাও স্কিল কম্পিটিশনে ভাল ফল করেছে। নবান্ন সূত্রে খবর, ‘অল ইন্ডিয়া ট্রেড টেস্ট’-এ রাজ্যের চারটি মেয়ে এবং তিনটি ছেলে দেশের মধ্যে বেস্ট ট্রেনি হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও স্কিল ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে আগেও স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলা। ২০২০ সালে রাষ্ট্রসংঘে স্কিল ডেভেলপমেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রাজ্যের উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্প। উৎকর্ষ বাংলা হল রাজ্যের তরুণ প্রজন্মের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির জন্য তৈরি প্রকল্প। রাজ্যের উদ্যোগে লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক-যুবতী নিখরচায় দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ পেয়েছেন ও পাচ্ছেন। কারিগরি প্রশিক্ষণ দপ্তরের সোসাইটি ফর স্কিল ডেভেলপমেন্ট এই প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে। উদ্ভাবনীর দিক থেকে নতুন নতুন কোর্সও জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সব মিলিয়ে দেশের মধ্যে স্কিল ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে ফের স্বীকৃতি পেল বাংলা।