গত কয়েকদিন ধরে রাতভর বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন ছিল কলকাতা শহরের বিভিন্ন এলাকা। সেই জল নামাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে প্রশাসনকে। এমনকি জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শহরে মৃত্যুও হয়েছে দুজনের। সবমিলিয়ে আগাম সতর্কতা ও প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও চলতি বর্ষায় ফেল করেছে পুরসভা। তাই এই পরিস্থিতিতে এবার শক্ত হাতে প্রশাসনের ব্যাটন ধরতে চাইছে নবান্ন।
বর্ষায় ওভারলোডিং নিয়ে এবার কড়াকড়ি আইন আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ওভারলোডিং কমানোর জন্য এবার কড়া হচ্ছে প্রশাসন। এদিন ফিরহাদ বলেন, বর্ষায় রাস্তা খারাপ হচ্ছে, তার অন্যতম কারণ ওভারলোডিং। অবিলম্বে এটা বন্ধ করতে হবে। এর জন্য নজরদারি বাড়ানো ও প্রশাসনিক তৎপরতায় জোর দিয়েছেন তিনি।
বস্তুত, এই ওভারলোডিং বন্ধ করা নিয়ে তৎপর হয়ে আদতে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইছে সরকার। কারণ ওভারলোডিং-এর ফলে একদিকে রাস্তাঘাট খারাপ হয়। তা সারাতে সরকারের বাড়তি খরচও হয়। তাছাড়া, এর ফলে সরকারের প্রচুর রাজস্ব ক্ষতিও হয়ে থাকে। ওভারলোডিংকে নিশানা করে তাই একসঙ্গে দুই কাজ করে ফেলতে তৎপর সরকার। উল্লেখ্য, এর আগেও ফিরহাদ হাকিমের মুখে ওভারলোডিং নিয়ে অসন্তোষ শোনা গিয়েছিল।
কী কী করা হবে ওভারলোডিং ঠেকাতে? পরিবহন মন্ত্রী এদিন বলেন, এর জন্য প্রতিনিয়ত নজরদারি প্রয়োজন। আগে থেকে না জানিয়ে হঠাৎ হঠাৎ করে সংশ্লিষ্ট জায়গায় হানা দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। এদিন জেলাশাসকদের তিনি নির্দেশ দিয়েছেন জায়গাগুলি পরিদর্শনে যাওয়ার এবং বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টিকে দেখার। এও বলা হয়েছে, যদি কোনও গাড়ি ওভারলোডিং করে, তবে যে পরিমাণ ওভারলোডিং হয়েছে সেই সমপরিমাণ সামগ্রী গাড়ি থেকে নামিয়ে নেওয়া হবে। প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপও করা হবে।