ভোটের ফলপ্রকাশের চারদিন পরে নিজের গড়েই আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। সেই হামলার পর ৪৫ দিন কেটে গেলেও এখনও মূল দোষীরা অধরাই রয়ে গেছে। এই অভিযোগ তুলে সোমবার দিনহাটা থানা ঘেরাও কর্মসূচী নেয় তৃণমূল। থানার সামনে বেশ কয়েকশো তৃণমূল কর্মী জমায়েত হয়ে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। এরপর থানার মূল গেটের সামনে ধর্নায় বসে আইসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা।
এদিন সকাল থেকেই এই বিক্ষোভ কর্মসূচীতে কার্যত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিনহাটা থানার চত্বর। তৃণমূল নেতা জয়দীপ ঘোষ, বিশু ধর প্রমূখের নেতৃত্বে সকাল থেকে শুরু হয় এই অবস্থান-বিক্ষোভ ও ঘেরাও কর্মসূচী। তৃণমূল নেতা জয়দীপ ঘোষ জানান, অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করা না হলে তাদের আন্দোলন কর্মসূচী চলবে।
এদিকে বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছিল আগেই। মিছিল আসতেই তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি চলে দিনহাটা থানা চত্বরের। কয়েক দফায় সেখানে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের ধস্তাধস্তি করতে দেখা যায়।
বিক্ষোভ কর্মসূচী চলাকালীন দিনহাটা থানার আইসি সঞ্জয় দত্ত আন্দোলনরত তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের জানান, ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে মূল অভিযুক্তদেরও গ্রেফতার করা হবে। তারপরেও তৃণমূল নেতা জয়দীপ ঘোষ দিনহাটা থানার আইসি সঞ্জয় দত্তের চেম্বারের সামনে গিয়ে ধর্নায় বসেন। খবর পেয়েই দিনহাটা থানায় ছুটে যান উদয়ন গুহ। নেতা-কর্মীদের ধর্না তুলে নেওয়ার আবেদন জানান। তারপরই ধর্না ওঠে।