গত প্রায় ২ মাস ধরেই বন্ধ ছিল স্টুডিওপাড়া। ‘শ্যুট ফ্রম হোম’ ব্যবস্থার মাধ্যমে কোনওরকমে চ্যানেলে চ্যানেলে ডেলিসোপগুলো চালু ছিল। তবে এবার সেই সমস্যা মিটলো। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে জট কাটতেই আজ অর্থাৎ শুক্রবার থেকে শ্যুটিং শুরু হয়ে গেল টালিগঞ্জে। কোনওভাবেই শ্যুটিং বন্ধ রাখা যাবে না। এই কথাই জানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ মেনেই আবার চেনা ছন্দে ফিরছে টালিগঞ্জ।
কিছুদিন আগেই শর্ত সাপেক্ষে শ্যুটিং শুরুর অনুমতি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। বলা হয়েছিল, ইউনিটে সর্বোচ্চ ৫০জন সদস্য নিয়ে শুটিং করা যাবে। ফ্লোরের স্যানিটাইজেশনের খেয়াল রাখতে হবে এবং অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পাশাপাশি প্রত্যেক ইউনিট মেম্বারকে ভ্যাকসিনেটেড হতে হবে। সেই নির্দেশমতো গত বুধবারই শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই আবার ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান্স অ্যান্ড ওয়ার্কাস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া অভিযোগ করে, ২০টি ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে বাড়ি থেকে শ্যুটিং করার নিয়ম মানা হয়নি।
বলা হয়, কোভিড বিধি লঙ্ঘন করে হোটেল, গুদামের মতো জায়গায় কাজ করা হয়েছে। এমনকী একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শ্যুটিংও করা হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অফ টেলিভিশন প্রোডিউসারস অফ ওয়েস্টবেঙ্গল সংগঠনের পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়। কিন্তু তারপরও জটিলতা কাটেনি। শ্যুটিং শুরুর জন্য স্টুডিওপাড়ার দরজা খুললেও অনেক টেকনিশিয়ান ফ্লোরে যাননি। ফলে কাজ শুরু করা যায়নি। এই জটিলতা কাটাতে সক্রিয় হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দেন, শুক্রবার থেকে শ্যুটিং শুরু করতেই হবে। সেই মতো সপ্তাহান্তে ফের লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন শোনা যাবে টলিপাড়ার চার দেওয়ালের মাঝে। এর জন্য আর্টিস্ট ফোরামের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়ে লেখা হয়েছে, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারকে এই সিদ্ধান্তের জন্য সাধুবাদ জানাচ্ছি।”