২০০১ সাল থেকে তৃণমূল বিধায়কদের বেতন থেকে প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা করে চাঁদা নেওয়া হত। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরেও তাতে বদল হয়নি। ২০১৬ সালের জ্যের পরও একই চাঁদার পরিমাণ। কিন্তু এবার বদল হল। তৃণমূল পরিষদীয় দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবার থেকে দলীয় তহবিলে বিধায়কদের চাঁদা দিতে হবে দ্বিগুণ। অর্থাৎ, মাসে ২,০০০ টাকা।
একজন বিধায়ক শপথ নেওয়ার দিন থেকে ভাতা, ফোনের বিল ও বাড়িভাড়া বাবদ মাসে ২১,৮৭০ টাকা পান। এ ছাড়াও দৈনিক ভাতা ও বিধানসভার বিভিন্ন কমিটির বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য মাসিক ৬০,০০০ টাকা পান। সব মিলিয়ে প্রতি মাসে প্রায় ৮২,০০০ টাকা পান রাজ্য বিধানসভার একেক জন সদস্য। সেই পাওনা অর্থ থেকেই তৃণমূলের দলীয় তহবিলে দিতে হবে ২,০০০ টাকা।
রাজ্য বিধানসভায় তৃণমূলের ২১২ জন বিধায়কের (ভবানীপুর থেকে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করার পর এটিই আপাতত তৃণমূলের বিধায়কসংখ্যা) মধ্যে ১৬৫ জনের বেতনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। পুরনো পাঁচজন বিধায়কের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কিছু সমস্যা রয়েছে। এ ছাড়া তৃণমূলের প্রতীকে জিতে আসা নতুন বিধায়কের সংখ্যা ৪৩ জন। নতুন বিধায়কদের বেতনের অ্যাকাউন্ট এখনও খোলা যায়নি। তাই নতুন সিদ্ধান্তের সঙ্গে ঠিক হয়েছে, করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই বিধায়কদের দ্রুত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে বলা হবে। তারপরই গত মে মাস থেকে হিসেবে কষে তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে মাসে ২,০০০ টাকা করে দলীয় তহবিলের জন্য কেটে নেওয়া হবে। অর্থাৎ, বেতন থেকে সরাসরি ওই অর্থ প্রতি মাসে দলের তহবিলে জমা পড়বে।