এবার নতুন করোনা টিকা আনতে চলেছে পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট। ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরে এবার মার্কিন সংস্থা নোভাভ্যাক্সের সঙ্গে সংযুক্ত তারা আনছে কোভোভ্যাক্স। চুক্তি আগেই হয়েছিল। এখন চলছে ট্রায়াল। সবকিছু ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বরেই দেশে চলে আসবে এই প্রতিষেধক।
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে আমেরিকা ও মেক্সিকোয় ট্রায়াল চলছে। গত ১৪ই জুন একটি বিবৃতিতে নোভাভ্যাক্সের তরফে জানানো হয়েছে, কোভিড সংক্রমণের বিরুদ্ধে এই টিকা ১০০ শতাংশ করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম। সব মিলিয়ে ৯০.৪ শতাংশ সফল কোভোভ্যাক্স। এদিকে সেরাম কর্তা আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, জুলাই থেকে শিশুদের উপরে এই টিকার ট্রায়াল চালাবে তাঁর সংস্থা। এরপর কেন্দ্রের চূড়ান্ত অনুমতি পেয়ে গেলেই সেপ্টেম্বরে তাঁরা বাজারে আনবেন এই নয়া টিকা।
প্রসঙ্গত, নোভাভ্যাক্স সংস্থা টিকা তৈরির জন্য জনপ্রিয়। এর আগেও তারা হেপাটাইটিস বি কিংবা এইচআইভি’র টিকা বানিয়েছে। এবার তারা তৈরি করছে করোনা টিকা। জানা গিয়েছে, তাদের তৈরি টিকার ট্রায়ালে কয়েক জনের মধ্যে জ্বর, বমির মতো কয়েকটি হালকা উপসর্গ দেখা গেলেও সব মিলিয়ে সেগুলি মৃদু উপসর্গই।
সব ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বর থেকেই একাধিক টিকা আসতে চলেছে ভারতের বাজারে। ইতিমধ্যে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন ছাড়াও স্পুটনিক ভি’র ব্যবহার শিগগিরি শুরু হতে চলেছে। এবার সেই তালিকায় থাকতে পারে কোভোভ্যাক্সের মতো আরও টিকা। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সকলের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যের কথা আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যে এগোতে গেলে যে টিকাকরণের গতি আরও বাড়াতে হবে, তা বারবার বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশজুড়ে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর থেকেই নতুন করে বেড়েছিল উদ্বেগ। চলতি বছর মার্চ থেকে হু হু করে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। তবে লকডাউন ও কড়া বিধিনিষেধের জেরে বর্তমানে অনেকখানি নিয়ন্ত্রণে দেশের কোভিড সংক্রমণ। একসময় দেশে যেখানে দৈনিক আক্রান্ত ৪ লক্ষের গণ্ডি পেরিয়েছিল, সেখানে এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজারে। তবে এখনও চিন্তায় রাখছে দৈনিক মৃতের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে তৃতীয় ঢেউ আসার আগে, যতটা সম্ভব টিকাকরণের লক্ষ্যে এগোতে চাইছে দেশ।