কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ফের তৃণমূলনেত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়। ফের কী তৃণমূলমুখী শোভন-বৈশাখী? বঙ্গ রাজনীতিতে চলতে থাকা জল্পনাকে আরও উস্কে ওঠে সোমবার তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যুগলের হাজিরায়। জল্পনা আরও বাড়ে বৈশাখী ও শোভনের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দরাজ প্রশংসায়।
মুকুল রায়ের তৃণমূলে যোগদানের পর ঘরে ফেরার আবহ বঙ্গ রাজনীতিতে। পুরনো দলে ফিরছেন আর কোন কোন নেতা সেই দিকে তাকিয়ে বঙ্গ রাজনীতি। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন বলে জল্পনার হাওয়া প্রবল। সোমবার সন্ধেয় তৃণমূল মহাসচিবের বাড়িতে যান শোভন-বৈশাখী। রবিবার প্রয়াত হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মা শিবানী চট্টোপাধ্যায় ৷ এমন সময় রাজনৈতিক বিভেদ দূরে সরিয়ে পুরনো সহকর্মীর পাশে দাঁড়াতেই তারা এসেছিলেন বলে দাবি করেন শোভন। তিনি বলেন, ‘আজ রাজনীতি নিয়ে কথা বলার মতো মানসিকতা ওনারও ছিল না, আমারও না৷’
এখানেই শেষ নয়, তৃণমূলে ফেরা নিয়ে সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট না করলেও বৈশাখীর মন্তব্যে বাড়ে জল্পনা। নারদাকাণ্ডে শোভনের গ্রেফতারির সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সেই কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কঠিন সময়ে উনি যেভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, পাশে থেকেছেন, সাহস জুগিয়েছেন সেটা কখনওই ভোলা যায় না৷ উনি ওনার বাকি তিন সহকর্মীর প্রতি যতখানি চিন্তিত ছিলেন, শোভনের বিষয়েও ততটাই চিন্তিত ছিলেন৷ বিশেষত যেভাবে উনি সঙ্কটের সময় পাশে থেকেছেন, তাতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা থাকে না৷ মুখ্যমন্ত্রীর আমাদের পরিবারের মতো। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শোভনের আন্তরিকতার সম্পর্ক। শোভনের কথা বলতে হলে বলি, যতই যেখানে রাজনৈতিক তরজা হোক, রাজনৈতিক পার্থক্য হোক, কাননের কাছে দিদিমণির স্থান অথবা দিদিমণির কাছে কাননের স্থান কখনই বদলাবে না।’ একইসঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়ও মমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্তরিকতা ও নারদকাণ্ডে সাহায্যের জন্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।