সপ্তাহখানেক আগেই নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন। আর তারপর থেকেই গুরুপ্রণাম শুরু করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আজ তিনি গেলেন রাজনৈতিক জীবনের আরেক ‘গুরু’, দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের বাড়ি। সন্ধ্যাবেলা সাংসদের যোধপুর পার্কের বাড়িতে যান দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সদ্য দায়িত্ব পাওয়া অভিষেক। তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান সুখেন্দুশেখর। বাড়ির ভিতরে ডেকে নেন। প্রণাম-আশীর্বাদের পর্ব মিটিয়ে উভয়ের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা হয় বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর। নতুন দায়িত্ব সামলাতে অভিজ্ঞ এই রাজনৈতিক নেতার থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শও চেয়েছেন যুব নেতা।
দলের নতুন দায়িত্ব পেতেই অভিষেক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, রাজনীতির আঙিনায় ‘গুরুজন’দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ নেবেন। সেইমতো গত রবিবার থেকেই তিনি এই কাজ শুরু করেছিলেন। প্রথম দিন গিয়েছিলেন তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি এবং পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে। নতুন দায়িত্ব এখন তাঁর কাঁধে, এই নয়া অভিষেককে দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন ‘বক্সিদা’। তাঁকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ”তোকে সব উজাড় করে দেব। মমতার আশীর্বাদ তোর সঙ্গে আছে। ও কত কষ্ট করেছে, কত সংগ্রাম করেছে।”
এরপর অভিষেক একে একে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়ে ‘গুরুপ্রণাম’ সেরেছেন। সকলেই অভিষেককে নতুন ভূমিকায় দেখতে উদগ্রীব। তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারে এমন এক সাফল্যের জন্য আশীর্বাদ করেছেন প্রাণভরে। কথা দিয়েছেন, নিজেদের অভিজ্ঞতা, সুপরামর্শ দিয়ে দায়িত্ব পালনে সাহায্য করবেন। সুখেন্দুশেখরও ব্যতিক্রম নন। তিনিও প্রাণভরে আশীর্বাদ করলেন দলের যুব নেতাকে। এদিন এমনিতে বর্ষীয়ান সাংসদের বাড়ি যাওয়ার কথাই ছিল অভিষেকের। মাঝে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মাতৃবিয়োগের খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান। তারপর সেখানে সবটা সামলে সরাসরিই চলে আসেন যোধপুর পার্কে, সুখেন্দুশেখর রায়ের বাড়ি।