সদ্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মুকুল রায়। শুক্রবারই তাঁকে দলে স্বাগত জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, শনিবার ফের অভিষেকের সঙ্গে মুকুলের সাক্ষাৎ। এ দিন দুপুরে সল্টলেকের বাড়ি থেকে বেরিয়ে ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে যান মুকুল রায়। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পাশাপাশি, স্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালেও যেতে পারেন তিনি।
বছর চারেক বাদে তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল রায়। এরই মধ্যে দলের সংগঠনে বদলে গিয়েছে অনেক কিছু। সদ্য সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ পেয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই এখন দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। এক সময় এই পদেই ছিলেন মুকুল রায়। তাই দলের সাংগঠনিক কাজকর্ম বুঝে নিতেই সম্ভবত অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন মুকুল। দলে থাকাকালীন বেশির ভাগ সময়টাই সাংগঠনিক কাজকর্ম সেরেছেন তিনি। রাজ্যসংভার সাংসদ বা মন্ত্রী হলেও কোনোদিনই জননেতা হিসেবে পরিচিতি ছিল না তাঁর। নেপথ্যে থেকে রণকৌশল ঠিক করতেইই পছন্দ করেন তিনি। তাই আগামীদিনে তৃণমূল তাঁকে সাংগঠনিক ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই সর্বভারতীয় স্তরে লড়ার ক্ষেত্রে জোর দিয়েছে তৃণমূল। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, দিল্লীর দিকে তাকিয়েই ঘুঁটি সাজাচ্ছে ঘাসফুলের শীর্ষ নেতৃত্ব। অভিষেকও দেশ জুড়ে প্রচারের পরিকল্পনা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছেন। এই পরিস্থিতিতে মুকুলকেও কাজ লাগাবে তৃণমূল। তবে তাঁকে কোন পদ দেওয়া হবে, সেই বিষয়ে কোনও কথা হয়নি। গত কাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ্ বিষয়ে কোনও কথা বলেননি।
এ দিকে তৃণমূলে ফিরতেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে মুকুল রায় ও শুভ্রাংশু রায়ের। মুকুলকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিয়েছে রাজ্য, শুভ্রাংশু পেয়েছেন ওয়াই প্লাস। শুক্রবার রাতেই মুকুলের কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় রাজ্যের নিরাপত্তা রক্ষীরা।