করোনার মারে বেহাল দেশের অর্থনীতি। চাপ বেড়েছে রাজ্যগুলির উপরও। এছাড়া, পরিস্থিতি ঘোরালো করে তুলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘উম্পুন’ ও ‘যশ’-এর মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়। এহেন পরিস্থিতিতে বাংলার পাওনা প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
নির্মলা সীতারমণকে চিঠি দিয়ে অমিত মিত্র প্রশ্ন তোলেন যে কোভিড ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের আবহে কেন্দ্র গত ১০ মাস ধরে (এপ্রিল, ২০২০ থেকে জানুয়ারি, ২০২১) কেন রাজ্যের পাওনা টাকা আটকে রেখেছে? পর্যাপ্ত অর্থের অভাবে মহামারী ও ত্রাণ বিলিতে রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রাজ্য প্রশাসনকে। ফলে পাওনা ৪ হাজার ৯১১ কোটি টাকা যেন এখনই মিটিয়ে দেওয়া হয়।
পাশাপাশি, জিএসটির ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সময়সীমা আরও অন্তত পাঁচ বছর বাড়িয়ে দেওয়ারও দাবি করেছেন অমিত মিত্র। তাড়াহুড়ো করে জিএসটি চালু করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু তারপরই এসে পড়েছে বিশ্বব্যাপী মহামারী। কাজেই জিএসটি ক্ষতিপূরণের বিষয়টি হিসেব মতো পাঁচ বছরে স্থিতিশীল হয়নি। তাই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ২০২২ সালের জুলাই মাসের পরেও আরও অন্তত পাঁচ বছর জিএসটি ক্ষতিপূরণের সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন তিনি।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বাংলায় লাফিয়ে বেড়েছে সংক্রমণ। বিশেষ করে বিধানসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলির মিটিং-মিছিলের জেরে করোনা গ্রাফ রকেটের গতিতে শিখর ছাড়িয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে গত মাসে সুন্দরবন, দীঘা ও মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা তছনছ করে দিয়ে গিয়েছে যশ। কেন্দ্রের কাছে ২০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝুলিতে আসে মাত্র ২৫০ কোটি টাকা। তারপরই অমিত মিত্রের চিঠিতে ফের কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত যে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে সেই ইঙ্গিত মিলছে।