মুকুল রায় যখন তৃণমূলে ছিলেন, তখন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসাবে তিনিই ছিলেন দলের ‘অঘোষিত দু’নম্বর’। সংগঠনের বিষয়-আশয়, সর্বভারতীয় স্তরে দৌত্য থেকে শুরু করে সরকারের অনেক ব্যাপারে তাঁর কথাই চলত। কিন্তু ২০১৭ সালে দল ছেড়ে প্রবীণ এই নেতা এখন বিজেপিতে। আর তারপর থেলেই বাংলায় শাসক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ এখনও শূন্য পড়ে রয়েছে। তৃণমূলের একটি সূত্রের মতে, সেই শূন্য পদ এ বার পূরণের সময় আসন্ন। শনিবার তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক হয়েছে। তপসিয়ায় তৃণমূল ভবনে সেই বৈঠকে দল বেশ কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তার পর ভার্চুয়াল ব্যবস্থায় সাংসদ, বিধায়ক, জেলা সভাপতি ও স্পেশাল ইনভাইটিদের নিয়ে বৃহৎ বৈঠকে তা অনুমোদন করানো হবে। অনেকে মনে করছেন, শনিবারই ঘোষণা না হলেও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে নবীনের উত্থানের প্রেক্ষাপট রচনা হয়ে যেতে পারে এদিনই। অচিরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ঘোষণা হতে পারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম।
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে অভিষেকের ভূমিকা ছিল অসামান্য। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের পর প্রশান্ত কিশোরকে পরামর্শদাতা হিসাবে নিয়োগ করা, প্রচারের কৌশল নির্ধারণ—সবেরই নেপথ্যে ছিলেন তিনি। এমনকি বিধাসভার ভোটপ্রচার কালেও শাসক দলের তরফে মমতার পর তাঁর প্রচারই সবথেকে গুরুত্ব পায়। সংশয়াতীত ভাবেই এই নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হয়েছে। সেই সঙ্গে এ-ও স্পষ্ট, যোগ্যতার বিচারে দলের মধ্যে তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতোও আর কেউ নেই। সূত্রের মতে, দলের রাজ্য সভাপতি পদে সুব্রত বক্সী ও মহাসচিব পদে পার্থ চট্টোপাধ্যায় হয়তো থেকে যাবেন। মুকুল রায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে থাকাকালীনও ঠিক যেমন তাঁরা সেই পদে ছিলেন। কিন্তু মমতার পরই ক্ষমতার ভরকেন্দ্র হিসাবে ‘অভিষেক’ ঘটবে অভিষেকের।