এবার টার্গেট লোকসভা ভোট। ঘর গোছাচ্ছে তৃণমূল। এরই মধ্যে শনিবারের বার বেলায় মেগা বৈঠক তৃণমূল ভবনে। যেখানে উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’ দফায় এদিন দু’টি বৈঠক করবেন তিনি। ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হবে ভবনেই। যেখানে সশরীরে থাকবেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। এরপরই ভার্চুয়ালি জেলা সভাপতি, জেলার বিধায়ক, সাংসদদের সঙ্গে কথা বলবেন নেত্রী।
সূত্রের খবর, শনিবারের বৈঠকে একাধিক রদবদল হতে পারে তৃণমূলের অন্দরে। নিতে পারেন ৫ বড় সিদ্ধান্ত। যথা-১। এক ব্যক্তি এক পদ নীতি, ২। পুরভোট, ৩। দলত্যাগীদের নিয়ে সিদ্ধান্ত, ৪। লোকসভা ভোটস্ট্র্যাটেজি, ৫। যুবনেতার অভিষেক। উল্লেখ্য আজকের বৈঠকে থাকবেন প্রশান্ত কিশোরও। তিনি কোনও পর্যবেক্ষণ জানান কিনা, এই নিয়ে জল্পনা থাকবে।
শনিবার দুপুর ২টোয় তপসিয়ায় তৃণমূল ভবনে প্রথম বৈঠকটি হবে। উপস্থিত থাকার কথা সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের। ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর বেলা ৩টে থেকে ভার্চুয়াল বৈঠক হওয়ার কথা। সূত্রের খবর, একুশে বিপুল জয়ের পর খোলনলচে বদলাতে বিশেষ আগ্রহী তৃণমূল। সংগঠনের পদাধিকারী হলে কাজের বাইরে আর কোনও কিছুকেই আমল দেওয়া যাবে না, সূত্রের খবর শনিবারের বৈঠকে এমনই বার্তা দিতে পারেন তৃণমূল নেত্রী। একই সঙ্গে শোনা যাচ্ছে, বিধায়ক অথচ জেলা সভাপতি পদেও আসীন, এমন নেতাদের একটি পদে রেখেই আরও ভাল করে কাজ করাতে চান সুপ্রিমো। উল্টো দিক থেকে আবার, দলের কাজে আরও বেশি করে বিভিন্ন নেতাকে যুক্তও করতে চান তিনি। সেই লক্ষ্যে এবার ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ তত্ত্বে চলতে পারেন মমতা।
সূত্রের খবর, এবার দলের সাংগঠনিক কাজে আরও গুরুত্ব বাড়তে পারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুধু যুব সংগঠনের নেতা কিংবা সাংসদ হিসাবেই নন, একজন দক্ষ সাংগঠনিক নেতা হিসাবেও তুলে ধরা হতে পারে তাঁকে। কারণ, ২০২১ সালের ভোটে তিনি প্রমাণ দিয়েছেন, দলনেত্রীর পরিবারের সদস্য হিসাবে নয়, রাজনীতির স্বকীয়তাতেও ধারে ভারে তিনি মোটেই কম নন।