আজ, হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ ২ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ দিতেই জামিন পেলেন নারদ কাণ্ডে ধৃত ৪ হেভিওয়েট নেতা। যদিও আগে গৃহবন্দী থাকার নির্দেশ পাওয়ার পরপরই একে একে তিন নেতা বাড়ি ফিরেছেন। কিন্তু হাসপাতালেই থাকতে হচ্ছে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রকে। আগামীকাল তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করবে মেডিক্যাল টিম। তারপর জানা যাবে কবে বাড়ি ফিরতে পারবেন তিনি। এদিকে জামিন পেয়েই কাজে নেমেছেন ফিরহাজ হাকিম।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরেই নারদ মামলা নিয়ে নড়েচড়ে বসে সিবিআই। কার্যত বিনা নোটিসে বাড়ি থেকে আটক করা হয় ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেজ। সেখানে তাঁদের গ্রেফতারের পর তোলা হয় আদালতে। প্রথমে তাঁদের জামিন মঞ্জুর হলেও নাটকীয়ভাবে তা খারিজ হয়ে যায়। চারদিন পর হাই কোর্ট ওই চার নেতাকে গৃহবন্দী থাকার নির্দেশ দেন। যদিও তার আগেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। পরে এসএসকেএমেই ভর্তি হন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও।
পরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও দুই নেতা ছাড়া পেলেও এখনও হাসপাতালে কামারহাটির বিধায়ক। শুক্রবার হাই কোর্টে বৃহত্তর বেঞ্চ নারদ কাণ্ডে ধৃতদের জামিন মঞ্জুর করলেও মদন মিত্র কতদিনে বাড়ি ফিরতে পারবেন তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েইছে। জানা গিয়েছে, কোভিড পরবর্তী একাধিক সমস্যা ছিল তাঁর। শারীরিক অবস্থা বেশ জটিল। বিধায়কের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, আগামিকাল অর্থাৎ শনিবার মদন মিত্রের মেডিক্যাল টিম বৈঠক করবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিকে জামিন পেয়েই পুরসভার উদ্দেশ্যে রওনা হন ফিরহাদ হাকিম। এতদিন গৃহবন্দী অবস্থাতে ভিডিও কনফারেন্সেই যাবতীয় কাজ সারতে হচ্ছিল তাঁকে।