বাড়ছে জটিলতা। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারির অন্যতম নায়ক মেহুল চোকসিকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত। বৃহস্পতিবার ডোমিনিকার আদালত জানিয়ে দিয়েছে, “এখনই মেহুলকে প্রত্যর্পণ করা যাবে না।” পাশাপাশি তাঁকে আইনি সাহায্য নেওয়ারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবারও এ সংক্রান্ত মামলার শুনানি রয়েছে। ওই শুনানির দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তবে কূটনীতিবিদরা মনে করছেন, পিএনবি কেলেঙ্কারির অন্যতম হোতার প্রত্যর্পণের বিষয়টি বিশ বাঁও জলে।
উল্লেখ্য, পিএনবি কেলেঙ্কারির কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই দেশ থেকে পালিয়ে অ্যান্টিগা’তে আশ্রয় নিয়েছিলেন ভারতের বিখ্যাত হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি। ভারতের সঙ্গে অ্যান্টিগা’র বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকার সুযোগ নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কমনওয়েলথভুক্ত দেশ হওয়ার সুবাদে অ্যান্টিগা থেকে পলাতক ব্যবসায়ীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয় নয়াদিল্লী। অ্যান্টিগা’র প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তার পরেই গত ২৩শে মে অ্যান্টিগা থেকে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান মেহুল।অবশেষে বুধবার কিউবা পালানোর সময়ে তাঁকে আটক করে ডোমিনিকার পুলিশ। অ্যান্টিগা সরকার মেহুলকে সরাসরি ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার অনুরোধ জানায় ডোমিনিকা সরকারকে।
তবে মেহুলকে ভারতে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি বিশ বাঁও জলে। ডোমিনিকার আদালতে মেহুলের আইনজীবী দাবি করেছেন, “তাঁর মক্কেল আর ভারতের নাগরিক নন, ফলে তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না।” শুধু তাই নয়, আইনজীবীদের সঙ্গে ভারতের পলাতক ব্যবসায়ীকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করা হয়। তার পরেই ডোমিনিকা আদালতের পক্ষ থেকে মেহুলের প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে আপাতত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।