আজ, বুধবার সকাল ৯টা ১৫ নাগাদ উড়িষ্যার বালেশ্বরের কাছে আছড়ে পড়েছিল অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। সূত্রের খবর, নির্ধারিত সময়ের আগেই স্থলভাগে আছড়ে পড়ে এই ঘূর্ণিঝড়। এদিকে, ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শুরু হয়েছে বাংলার উপকূল এলাকায়। বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রবল জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় যশের ল্যান্ডফল, বৃষ্টি, ভরা কোটাল, সবমিলিয়ে গোটা দক্ষিণবঙ্গেই শুরু হয়েছে বিপর্যয়। বেশিরভাগ জায়গায় ঝড়ের থেকে বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে ফুঁসে ওঠা নদীর জল।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা, কুলতুলি থেকে শুরু করে দীঘা, হলদিয়া-সব জায়গাতেই গ্রামে ঢুকছে জল। বুধবার সকালে ডায়মন্ড হারবারে ঢুকে পড়ে হুগলি নদীর জল। কাল রাত থেকেই ধীরে ধীপে বাড়ছিল নদীর জল। সকাল দশটা নাগাদ তা ফুঁসে উঠে ঢুকে পড়ে ডায়মন্ড হারবারের কেল্লার মাঠ সহ সন্নিহিত এলাকায়। অধিকাংশ জায়গায় দাঁডয়ে গিয়েছে এক কোমর জল। স্বাভাবিকভাবেই সেই জল ঢুকে পড়েছে অনেকের ঘরের মধ্যে। ফলে ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন বহু মানুষ। এলাকার মানুষের দাবি, জাতীয় সড়কের উপরে এভাবে নদীর জল চলে আসতে পারে তা তারা ভাবতে পারেননি।