গতকালই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। এদিকে আজই ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বুদ্ধবাবুকে। স্ত্রী-র পাশাপাশি তিনিও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে এতদিন বাড়ি থেকেই চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আজ তাঁকে আলিপুরের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হল। আর তারপরেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যকে ফোন করে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিলেন রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেমন আছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, চিকিৎসকরাই বা কী বলছেন, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ নেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এছাড়াও মীরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা নিয়েও খোঁজখবর নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, এর আগেও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য যখন শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তখনও তাঁর নিয়মিত খোঁজ খবর নিতেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে হাসপাতালেও ছুটে গিয়েছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাত থেকেই বুদ্ধবাবুর শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয়। অক্সিজেনের লেভেল ওঠানামা করছিল বলে জানা গিয়েছে। চিকিৎসকরা কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে দ্রুত উডল্যান্ডস হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হয়। কোভিড সংক্রান্ত জটিলতার কারণেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা সিদ্ধান্ত বলে খবর। পরিস্থিতি যাতে আরও অবনতির দিকে না যায়, তার জন্যই হাসপাতালে চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দলের তরফে। পরিবারের তরফেও হাসপাতালে চিকিৎসার পক্ষেই সায় রয়েছে।
পারিবারিক চিকিৎসক সূত্রে খবর, সোমবার রাত থেকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। মঙ্গলবার সকালে তাঁর অক্সিজেনের মাত্রা ৮০-৮২ তে নেমে আসে। তাই আর কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। উডল্যান্ডস হাসপাতাল থেকে একটি অ্যাম্বুল্যান্স আনা হয় পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ির সামনে। ফ্ল্যাট থেকে স্ট্রেচারে করে অ্যাম্বুল্যান্সে তোলা হয় তাঁকে। ১২টা নাগাদ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।