নিম্নচাপ ইতিমধ্যেই পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে। ফুঁসতে শুরু করেছে সমুদ্র। ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগকে রোখার পথ নেই, তবে মানুষের পাশে আছি’, মঙ্গলবার নবান্ন থেকে এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আশ্বাস দিলেন মায়ের মতো রাজ্যবাসীকে আগলে রাখার।
মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘যশ’ মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। কলকাতার কোন এলাকার দায়িত্ব কাকে দেওয়া হয়েছে, তা জানিয়ে দেন তিনি। বলেন, “আমফান থেকে শিক্ষা নিয়েছি। এবার ৭৪ হাজার সরকারি অফিসার ও কর্মীদের সরাসরি দুর্যোগ মোকাবিলার কাজে নামানো হচ্ছে। মোট ৩ লক্ষ মানুষকে নিয়ে দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দেওযার কাজ চালানো হবে। প্রয়োজনে নামানো হবে সেনা।” এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দুর্যোগ আমাদের হাতে নেই। আটকাতেও পারব না প্রকৃতিকে। তবে আমি পাহারা দেব আপনাদের। পরিস্থিতি যাই হোক, ভরসা রাখুন। ২৫ ও ২৬ তারিখ আমি রাত জেগে পাহারা দেব। আপনারা আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হন।
উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের জন্য এদিন দুঃখপ্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘যারা উপকূলের বাসিন্দা, বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তাঁদের বিপদে পড়তে হয়’। প্রত্যেককে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। দুর্যোগের পরিস্থিতিতে যাতে কোনওভাবেই কেউ করোনা পরিস্থিতির কথা না ভোলেন সে কথাও বলেন। রিলিফ সেন্টারে আবশ্যক মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশ দেন। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই যশের মনিটরিং শুরু হয়েছে। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সন্ধে ৬ টায় ফের সাংবাদিক বৈঠক করে ‘যশ’ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানাবেন মমতা।