আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী বুধবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যেই বালেশ্বর ও পারাদ্বীপের মাঝামাঝি আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় যশ। গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার। তবে ঝড়ের ল্যান্ডফল বাংলায় না হওয়ায় এ রাজ্যে আমফানের মতো প্রভাব ফেলবে না যশ। কিন্তু ঝড়ের আছড়ে পড়ার আগেই যেভাবে উত্তাল হচ্ছে সমুদ্র, বৃষ্টির পাশাপাশি ভর দুপুরে নেমেছে সন্ধের অন্ধকার তাতে আতঙ্কিত রাজ্যবাসী৷ আর এই পরিস্থিতিতে বাজারে বাড়ন্ত মোমবাতি। দুর্যোগের আশঙ্কায় তার আকাশছোঁয়া চাহিদা ক্রেতাদের মধ্যে। কারণ যশ আছড়ে পড়লে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ভয় রয়েছে। তাই আমফানের অভিজ্ঞতা থেকেই বহু মানুষ বাড়িতে বেশি করে মোমবাতি আর দেশলাই কিনে রাখতে চাইছেন।
তবে যে সব দোকানে বারোমাস মোমবাতি বিক্রি হয়, সেখানে ইতিমধ্যেই স্টক ফুরিয়ে যাওয়ার জোগাড়। কারণ করোনা সংক্রমণ রুখতে জারি হওয়া লকডাউনে পাইকারি বাজার বন্ধ থাকায় খুচরো বিক্রেতারা চাহিদা মতো কিনতে পারছেন না। আবার কর্মীরা না থাকায় স্থানীয় উৎপাদনও বন্ধ। ফলে যশের আশঙ্কায় মোমবাতির বাজার তৈরি হলেও তার পর্যাপ্ত জোগান নেই। উল্লেখ্য, মোমবাতির বিক্রি মূলত হয় দীপাবলিতে। নিয়মিত পূজার জন্যও অনেক কেনেন। ইদানীং নীল মোমবাতির চাহিদাও বেড়েছে শনি মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সে সব প্রায় বন্ধ অনেক দিন। ফলে মোমবাতির খুব বেশি স্টক থাকে না ব্যবসায়ীদের কাছে। এর ফলে স্বাভাবিক ভাবেই বাজারে চাহিদা বেড়েছে। ফলে অর্থনীতির নিয়ম মেনে দামও বেড়েছে।