এবার সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্র প্রবর্তিত নয়া গাইডলাইনের অন্যথা হলেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার ও গ্রিভ্যান্স অফিসার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল কেন্দ্র। নতুন আইটি অ্যাক্টের অংশ হিসাবে মানতে হবে এই গাইডলাইন। ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবের মতো সংস্থাগুলিকে আরও কড়া নজরদারির আওতায় অধীনে আনতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার।
উল্লেখ্য, গত ২৫শে ফেব্রুয়ারি এই নিয়মগুলি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে নয়া গাইডলাইন কার্যকর করতে ৩ মাস সময় দেওয়া হয়। তবে, এখনও পর্যন্ত কোনও বড় সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাই কেন্দ্রকে নতুন পদগুলিতে নিয়োগের বিষয়ে কিছু জানায়নি। কেন্দ্রের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সংস্থাগুলিকে যে কেন্দ্রকে সরাসরি জানাতে হবে এমন শর্তও নেই। নিজেদের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেও চলবে।
প্রসঙ্গত ৫০ হাজারের বেশি ব্যবহারকারী আছে, এমন প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাকেই এই নীতির অধীনে আনা হচ্ছে। এর লক্ষ্য মূলত, সাইবার ক্রাইম রোধ, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গুজব ও উস্কানিমূলক প্রচারে রাশ টানা ইত্যাদি। সংস্থাগুলিকে সর্বক্ষণের জন্য নোডাল কনট্যাক্ট অফিসার রাখতে বলা হয়েছে। তিনি সর্বক্ষণ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন সমস্ত বিষয়ে। সেই সঙ্গে নিয়োগ করতে হবে একজন গ্রিভ্যান্স অফিসার।