একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা দখলের মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছিল বিজেপি। কেন্দ্রীয় নেতারা বারবার সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখিয়েছেন রাজ্যবাসীকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বারবার দাবি করেছিলেন, দুশোর বেশি আসন পাবে বিজেপি। কিন্তু ভোটের ফলপ্রকাশের পর দেখা গিয়েছে, বিজেপিকে একেবারে আস্তাকুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলেছে বাংলার মানুষ। আশাতীত আসন পেয়ে জয় লাভ করেছে তৃণমূল। যার ফলে ফের তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন দলত্যাগীরা।
তবে শুধু দলত্যাগী তৃণমূল নেতানেত্রীরাই নন, বিজেপির বিধায়ক এমনকী সাংসদরাও যোগ দিতে চাইছেন ঘাসফুল শিবিরে। এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন কুণাল ঘোষ। যদিও তাঁদের দলে নেওয়া হবে কি না, সেই সিদ্ধান্তের দায়িত্ব নেতৃ্ত্বের উপরই ছেড়েছেন তিনি। পাশাপাশি দলত্যাগীদের দলে ফেরানো প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন তিনি। কুণাল ঘোষের দাবি, শুধু দলত্যাগীরাই নন। বিজেপির সাত থেকে আটজন বিধায়ক তৃণমূলের দিকে ঝুঁকেছেন। তালিকায় রয়েছেন তিন সাংসদও।
যদিও স্বাভাবিকভাবেই কারও নামই প্রকাশ করেননি তিনি। তাঁদের দলে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়রা, এমনটাই জানিয়েছেন কুণাল। এই বিষয়ে এখনও বিজেপির কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনে মোট ৭৭ টি আসন পেয়েছে বিজেপি। তবে ২ জন, নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার দলের সিদ্ধান্তে বিধায়ক পদ ত্যাগ করেছেন। অর্থাৎ বর্তমানে বাংলায় বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা ৭৫। কুণাল ঘোষের দাবি অনুযায়ী, আরও সাত থেকে ৮ জন বিধায়ক দলত্যাগ করলে তা বিজেপির উপর বড়সড় প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।