সোমবার সাতসকালে নারদ মামলায় তৃণমূলের ৩ নেতা-মন্ত্রীর পাশাপাশি শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও গ্রেফতার করে সিবিআই। সেদিন কলকাতার প্রাক্তন মেয়রকে যখন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তাঁকে ওষুধ দেওয়ার জন্য সংশোধনাগারের দরজায় বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় অঝোর কান্না দেখেছিল আপামর রাজ্যবাসী। হাইকোর্টের রায়ের পর এখন এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শোভন। কিন্তু এবার তাঁর চিকিৎসা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বৈশাখী। শোভনকে এসএসকেএম হাসপাতালে জোর করে আটকে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর।
এদিন বৈশাখী বলেন, ‘শোভনের অসুস্থতা আগে থেকেই ছিল। চক্রান্ত করা হচ্ছে। ক্ষোভে খাওয়া বন্ধ করেছেন শোভন। যেখানে আদালত গৃহবন্দী করে রাখার নির্দেশ দিয়েছে, সেখানে কেন আটকে রখা হচ্ছে। এটা অগণতান্ত্রিক। ফিরহাদ হাকিম মন্ত্রী বলে বাড়ি ফিরতে পারবেন, সাধারণ মানুষ হলে পারবেন না, এটা কেন হচ্ছে? ফিরতে হলে পর্ণশ্রীর বাড়িতে আসতে হবে, এসব বলা হচ্ছে। চাপ আসছে। কোথা থেকে চাপ আসছে জানি না। চাপের কাছে নতিস্বীকার করেছে এসএসকেএম। সিবিআই হেফাজতের থেকেও খারাপ অবস্থা এসএসকেএম-এ’।
বৈশাখী এ-ও জানান, কেউ এসে শোভনের কেবিনের দরজায় লাথি মারছে। কেউ বা ব্যক্তিগত নিরাপত্তারপক্ষীর হাত মচকে দিচ্ছে। কারা করছে সব ছবি আছে। উল্লেখ্য, নারদ মামলায় শোভন-সহ চার হেভিওয়েটকে গৃহবন্দি করে রাখার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এরপরই শোভনের বাড়িতে চিকিৎসা চালানোর জন্য তোড়জোড় শুরু করেন বৈশাখী। অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, নেব্যুলাইজারের ব্যবস্থা করেছেন বলে খবর। এদিকে, হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সিরোসিস অফ লিভারে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ।