মদন মিত্রের ভোকাল কর্ডে টিউমার ধরা পড়ল। বারবার গলা ভেঙে যাওয়ায়, কথা বলতে অসুবিধা হওয়ায় শনিবার কামারহাটির বিধায়ককে দেখতে আসেন চিকিৎসকরা। পরীক্ষা করতেই তাঁর ভোকাল কর্ডে টিউমার ধরা পড়ে। মদন মিত্রকে স্পিচ থেরাপির পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসক অরুণাভ সেনগুপ্ত বলেন, ‘মদন মিত্রের লেফট কর্ডে ছোট্ট একটি ভোকাল অ্যাঞ্জিওমা পাওয়া গিয়েছে। ওনাকে গলার উপর বেশি জোর না দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্পিচ থেরাপি করতে হবে। মাঝে মাঝে দেখতে হবে ওটা কমল কিনা’। বিষয়টি ভয়ানক না হলেও এখনই সারিয়ে নেওয়া উচিত বলে মত চিকিৎসকদের। তাঁদের অনুমান, ভোটের প্রচারে গলার উপর অত্যাধিক চাপ পড়ার কারণেই এমনটা হয়েছে।
নারদ কাণ্ডে গ্রেপ্তারির পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিন জনকেই ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। এদের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ ছিলেন মদন মিত্রই। ৪ হেভিওয়েটকে আপাতত গৃহবন্দীর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ফিরহাদ প্রেসিডেন্সি জেল থেকে বাড়ি ফিরলেও মদন, শোভন এবং সুব্রত এখনও হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন।
ভোটপর্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন মদন। তার পর সুস্থ হয়ে উঠলেও, শরীর দুর্বলই ছিল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, করোনার জেরে মদন মিত্রের ফুসফুসে ক্ষত ধরা পড়েছে। আপাতত উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৩ নম্বর ঘরে ভর্তি তিনি। মদন মিত্রের পরিবার জানিয়েছে, তাঁর ব্লাড প্রেসার বেশির দিকে, সুগার ওঠানামা করছে। সঙ্গে রয়েছে প্যালপিটিশন। এসব কারণে হাসপাতালে রেখেই তাঁর চিকিৎসা করাতে চায় পরিবার।