দেশে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। রূপ বদলে আরও ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে এই মারণ ভাইরাস। যার জেরে রোজ বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুমিছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশের বেশির ভাগ রাজ্যেই চলছে লকডাউন। তবে এরই মধ্যে উত্তরপ্রদেশের হাসানপুর গ্রামে চিকিৎসার অভাবের বলি হচ্ছেন অনেকে। শেষ ২০ থেকে ২৫ দিনে মোট ২২ জন গ্রামবাসীর মৃত্যু ঘটেছে সেখানে। যাঁদের সবারই করোনার লক্ষণ ছিল।
যদিও এই বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে কোনও বিশেষ তৎপরতাও নেই, সকলেই মুখ বন্ধ করে রয়েছেন। কারণ হিসেবে দেখা গিয়েছে যে, সেখানকার স্থানীয় লোকেরা করোনা বিধি নিষেধ নিয়ে খুব একটা সচেতন নন। বাইরে বেরানো এবং কথা বলার সময় গ্রামবাসীরা মুখে মাস্কের ব্যবহার করেন না বললেই চলে। সেই সঙ্গে সামাজিক দুরত্বও বজায় রাখেন না কেউ।
তবে এই গ্রামের সবথেকে বড় সমস্যা হল চিকিৎসা ব্যবস্থা। গ্রাম প্রধান প্রিয়ঙ্ক কৌশিক জানান যে, গ্রামের চিকিৎসা ব্যবস্থা খুবই নগণ্য। তবে একটি আয়ুর্বেদিক হাসপাতাল আছে যেখানে খানিকটা ভালো কাজ হয়। তবে গ্রাম অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করার ডাক্তারের ব্যাপক অভাব রয়েছে। তাই কেউ আক্রান্ত হলে সময়মতো তার সঠিক চিকিৎসা হয় না। যার ফলে এখনও পর্যন্ত ২২ জন মারা গিয়েছেন। জানা গিয়েছে, গ্রামে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা এসে তদন্ত করেছে। তবে এখনও কোনও রিপোর্ট পেশ করেননি তাঁরা।