১৯৭০ সালে তাঁর হাত ধরেই শুরু হয়েছিল বহু চর্চিত চিপকো আন্দোলন। এবার প্রয়াত হলেন চিপকো আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা পরিবেশবিদ সুন্দরলাল বহুগুনা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি তাঁর শরীরে থাবা বসায় করোনা ভাইরাস। যার জেরে গত ৮ মে তাঁকে হৃষিকেশের এইমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাঁর কোভিড নিউমোনিয়া ধরা পড়ে বলে খবর। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই তাঁর অক্সিজেন লেভেল দ্রুত পড়তে শুরু করে। তাঁকে সাময়িক বাইপ্যাপ ভেন্টিলেশনে স্থানান্তিরত করা হয়। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। শুক্রবার হাসপাতালেই জীবনাবসান হয় জনপ্রিয় এই পরিবেশবিদের।
প্রসঙ্গত, গান্ধীজির পথ অনুসরণকারী এই কিংবদন্তি পরিবেশবিদ গাড়োয়াল হিমালয়ের কোলে গাছ বাঁচানোর তাগিদে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। গাছ কাটার প্রতিবাদে গড়ওয়াল হিমালয়ের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে মহিলাদের দেখা গিয়েছিল জঙ্গলের গাছ জড়িয়ে প্রতিবাদ করতে। ১৯৮০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি তেহরী বাঁধ নির্মাণের বিপক্ষেও প্রতিবাদ করেন। ১৯৭৪ সালে সরকারের বন নীতির প্রতিবাদে তিনি দুই সপ্তাহ উপবাস করেছিলেন। সেই বছর রেনি গ্রামের কাছাকাছি গাছ কাটার বিরুদ্ধে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে ওঠে। গ্রামের মানুষদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নাম করে গ্রামের বাইরে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। চিপকো আন্দোলনের ফলস্বরূপ সরকার ১৯৮০ সালে পরবর্তী ১৫ বছরের জন্য হিমালয়ের পাহাড়ি অঞ্চলে গাছ কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সেই সময় তাঁকে ‘হিমালয়ের রক্ষক’-এর তকমা দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়। ২০০৯ সালে ‘পদ্মবিভূষণ’ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল সুন্দরলাল বহুগুনাকে।