বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে যখন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোমর বেঁধে নেমেছে তৃণমূল সরকার, সংক্রমণ রুখতে রাজ্যজুড়ে কার্যত লকডাউন জারি করা হয়েছে, তখনই চার পাঁচ বছর পুরোনো নারদকাণ্ডে অতিসক্রিয় সিবিআই। সোমবার সাতসকালেই বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। নিজাম প্যালেসে থেকে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল বিধায়ক সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্রকেও। গ্রেফতার করা হয় ‘দলবদলু’ শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও। আর তারপর থেকেই বিজেপির এ হেন প্রতিহিংসার রাজনীতি নিয়ে সরব শাসক দল। নিজাম প্যালেস-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। এদিকে, এই গ্রেফতারি নিয়ে অভিযুক্তদের পরিবারও কার্যত অন্ধকারে। সংবাদমাধ্যমের সামনে অভিযুক্তদের পরিবারের তরফে যে বয়ান এসেছে, তাতে তাঁরা বিশেষ কিছু জানেন না বলেই জানিয়েছেন।
ফিরহাদ হাকিম গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর এক মেয়ে নিজাম প্যালেসে যান। আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মদন মিত্রের ছেলে জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রায় ২০০-২৫০ জওয়ান নিয়ে সিবিআই অফিসাররা বাড়িতে আসেন। গ্রেফতার করে নিয়ে যান বাবাকে। কেন গ্রেফতার, কী ধারায় কিছুই জানানো হয়নি বলে দাবি মদন মিত্রের ছেলের। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ও নিজাম প্যালেসে যান। নিজাম প্যালেসে পৌঁছে তিনি বলেন, আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে এসেছেন। গোটা বিষয় নিয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এদিকে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন, যে ধারায় মামলা করা হয়েছে তাতে জামিন হয়। আর এত দিনের পুরনো একটি মামলায় এখন গ্রেফতার করার কী প্রয়োজন হল। আইনজীবী আরও বলেন, সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে যত বার ডাকা হয়েছে তিনি তদন্তে সহযোগিতা করেছেন। এখন কেন বিনা নোটিসে গ্রেফতার করতে হল তা তিনি বুঝতে পারছেন না।