আজ, উৎসবের দিনটায় শিথিল হল পাহারা। কমলো দু’পক্ষের শত্রুতা। ঈদ উপলক্ষ্যে ভারত-পাক সীমান্তে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যেই চলল শুভেচ্ছা বিনিময় ও মিষ্টি বিতরণ। সূত্রের খবর, সম্প্রতি ভারত-পাক সীমান্তে আবহাওয়া একটু হলেও ঠান্ডা। কারণ দু’পক্ষের সেনাবাহিনীর মধ্যে সঙ্ঘর্ষ-বিরতি চুক্তি চলছে। এরইমধ্যে দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে এই শুভেচ্ছা বিনিময়ে আর একটু বাড়ল উষ্ণতা। এ শান্তি চিরস্থায়ী নয়, সকলেই হয়তো জানে। তবু একটা দিনের উৎসব পালনে বাধা নেই তো!
সাধারণত ঈদ, দোল ও দীপাবলি উপলক্ষ্যে ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যেই মিষ্টি বিতরণ ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের প্রচলন বহুদিন ধরেই চলে আসছে। এবারও তার ব্যতিক্রম নেই। উরি সেক্টরের তাঙধার, কুপওয়ারা, কামান-আমন সেতু ও তিতওয়াল ক্রসিং-এ দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে মিষ্টি বিতরণ ও শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে কাঁটাতার পেরিয়েই। এদিকে, পুঞ্চ-রাওয়ালকোট, মেন্ধার-হটস্প্রিং ক্রসিংয়েও দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে মিষ্টি ও শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে।
সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, দুই দেশই বেশ কিছুদিন সঙ্ঘর্ষ বিরতি চালিয়ে যাচ্ছে। গত কয়েক মাস ধরেই ভারত-পাক সীমান্তে শান্তি ও সম্প্রীতির একরকম নজির তৈরি হয়েছে। সেই আবহেই আজ সম্পূর্ণ কোভিড বিধি পালন করেই দুই দেশের সেনারা পারস্পরিক শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন। কাশ্মীরের পাশাপাশি জম্মুর সীমান্তবর্তী এলাকাতেও এই দৃশ্য দেখা যায়। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে পুলওয়ামা কাণ্ডের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছিল।
এর পরেই গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল লেফট্যানেন্ট জেনারেল পরমজিত সিং পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল নৌমন জাকারিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসেন। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক স্তরেও আলোচনা চলতে থাকে। সেই আলোচনার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশ সঙ্ঘর্ষ-বিরতি চুক্তি পালন করবে। যদিও এর আগেও হাজারবার চুক্তি হলেও তা ভেঙেছে বারবারই। তবে গত দু’বছরে দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া, চুক্তি পালন করছে দুই দেশই।