অশনি সংকেত অব্যাহত গেরুয়াশিবিরে। নির্বাচন মিটতে না মিটতেই এবার মালদার বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতির দখল নিল তৃণমূল। বিজেপির ৪ সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার দলত্যাগীদের দাবি, মমতার উন্নয়নের যজ্ঞে শামিল হতেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাঁরা। যদিও বিজেপির জেলা নেতৃত্বের পাল্টা দাবি, প্রলোভন এবং ভয় দেখিয়ে রাজ্য জুড়ে এখন দলবদলের পালা চলছে। পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের পর দ্রুত অনাস্থা আনা হবে শনিবার জানিয়েছেন জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর হেমন্ত শর্মা।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় বামনগোলা-সহ ২টি পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে বিজেপি। বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতির ১৮টি আসনের মধ্যে ১০টি দখল করে বিজেপি। ৮টিতে জয়লাভ করে তৃণমূল। বিধানসভার লড়াই শেষ হতেই বিজেপির ১০ সদস্যের মধ্যে ৪ জন তৃণমূলে নাম লেখান। এই মুহূর্তে ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে ১২টি আসনই তৃণমূলের দখলে চলে এল। ফলে বামনগোলায় রাজ্যের শাসকদল একক ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ। এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের মালদহ জেলার কো-অর্ডিনেটর হেমন্ত শর্মা বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনের পর বিভিন্ন জায়গায় বিজেপিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতির ৪ জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ আমরা। ২টো পঞ্চায়েত সমিতির বর্তমান সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকা হবে।”