গত জানুয়ারি থেকে দেশে শুরু হয়েছে করোনার টিকাকরণ। প্রথমে কোভিড-যোদ্ধাদের টিকা কর্মসূচি চালিত হয়েছে দেশজুড়ে। এরপর সাধারণ মানুষের মধ্যেই টিকাকরণ শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু সমীক্ষা বলছে, এখনও অবধি দেশের ৩ শতাংশ মানুষেরও সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়নি। অথচ এরই মধ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে কমছে টিকাকরণের হার। এত দিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তারা দাবি করছিলেন, দেশে টিকার কোনও অভাব নেই। রাজ্যে রাজ্যে লকডাউন কিংবা বিধিনিষেধের কারণেই টিকাকরণ কম হচ্ছে।
কিন্তু তার হার যে কমছে এবং প্রতিষেধকের অভাবই যে তার অন্যতম কারণ, সে কথা এবার কার্যত মেনে নিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, টিকাকরণের গতি কমলে চলবে না। রাজ্য স্তরে লকডাউন সত্ত্বেও তা চালিয়ে যেতে হবে। কোভিড রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকায় স্বাস্থ্যকর্মীর অভাব দেখা দিয়েছে। সেই সূত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, টিকাকরণের কাজে নিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের অন্যত্র সরানো চলবে না।
উল্লেখ্য, গতকাল প্রধানমন্ত্রী কোভিড মোকাবিলার বিষয়ে কেন্দ্রের শীর্ষ আমলাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।প্রতিষেধকের অভাবের প্রেক্ষিতে আগামী কয়েক মাসে টিকার উৎপাদন কী ভাবে বাড়ানো হবে, তার রূপরেখা নিয়েও বৈঠকে পর্যালোচনা হয়। এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে বলেছে, তৃতীয় ঢেউয়ে বড়দের পাশাপাশি আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হয়েছে ছোট ছোট শিশুদেরও। সে ক্ষেত্রে তাদের কাউকে হাসপাতালে যেতে হলে, প্রতিষেধক দিতে হবে বাবা-মাকেও। তাই তার জন্য পরিকল্পনা মাফিক বন্দোবস্ত করা জরুরি। কিন্তু এই বিষয়ে অনেকেরই প্রশ্ন, যেখানে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিরাই টিকা পেতে নাজেহাল, সেখানে দ্রুত ওই প্রতিষেধকের ব্যবস্থা মোদী সরকার কোথা থেকে করবে?