প্রাথমিক ট্রেন্ডে তৃণমূলেরই স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে নদীয়ায়। পোস্টাল ব্যালট, প্রথম রাউন্ড গণনার শেষে নদীয়ায় অধিকাংশ আসনেই এগিয়ে তৃণমূল। কেবলমাত্র কৃষ্ণনগর উত্তর আসনে এগিয়ে রয়েছেন মুকুল রায়। তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায় পিছিয়ে পড়েছেন। টানটান উত্তেজনায় মধ্যেই গণনা চলেছে। জানা গিয়েছে, প্রায় ৮০০০ মতো ভোটে এগিয়ে রয়েছেন মুকুল। কিন্তু জেলার অধিকাংশ আসনেই এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা।
কয়েক বছরে জল অনেক গড়িয়েছে বাংলায়। নানা রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়েছে রাজ্যে। বঙ্গে আইএসএফ, বিজেপির মতো শক্তি মাথা চাড়া দিয়েছে। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে নদীয়া জেলার ১৭টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ১৩টি আসন। কংগ্রেস জিতেছিল মাত্র ৩ টি আসনে। আর বামেরা পেয়েছিল মাত্র ১ টি আসন। যদিও কংগ্রেসের ৩ বিধায়কই পরে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। তবে গত বিধানসভা ভোটের ফলের নিরিখে আশাবাদী ছিল সংযুক্ত মোর্চাও।
বিশেষ করে, জেলার মুসলিম অধ্যুষিত বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে তারা ভাল ফলের আশা রাখছিল তাঁরা। আইএসএফকে ৩ টি আসন ছেড়ে দিয়েছিল বামেরা। অন্যদিকে, স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্প বা দুয়ারে সরকার, পাড়ায় পাড়ায় সমাধান কর্মসূচির সাফল্যের হাত ধরে লোকসভার তুলনায় ভাল ফলের আশাবাদী ছিল তৃণমূল। ট্রেন্ড বলছে, ‘স্বপ্নপূরণের’ পথেই হাঁটছে তৃণমূল। আর লোকসভার ফলের নিরিখে বিপর্যয়ের পথেই এগোচ্ছে বিজেপির ফলাফল।