অন্তিম প্রহরে বাংলার লড়াই। রবিবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ চলছে আর সেই প্রাথমিক ট্রেন্ডে দেখা যাচ্ছে, হুগলীর বেশিরভাগ কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরাই। প্রথম রাউন্ড গণনার শেষে যা খবর মিলছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, চুঁচুড়া কেন্দ্র থেকে পিছিয়ে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। যাঁকে বিজেপির অন্যতম মুখ্যমন্ত্রী মুখ মনে করা হচ্ছিল, সেই স্বপন দাশগুপ্ত তারকেশ্বর থেকে পিছিয়ে রয়েছেন, হুগলীর চণ্ডীতলা থেকে পিছিয়ে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী তথা অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। প্রতিটা কেন্দ্রেই এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা।
চন্দননগর তৃণমূল প্রার্থী ইন্দ্রনীল সেন এগিয়ে। চণ্ডীতলায় পিছিয়ে মহম্মদ সেলিম। এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী স্বাতী খন্দকার। হুগলীর চাঁপদানি থেকে পিছিয়ে রয়েছেন কংগ্রেসের আবদুল মান্নান। দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে ৩ হাজার ৩৫৯ ভোটে এগিয়ে সিঙ্গুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বেচারাম মান্না। পিছিয়ে রয়েছেন বিজেপির রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। উত্তরপাড়া কেন্দ্র থেকে এগিয়ে রয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক। পিছিয়ে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী প্রবীর ঘোষাল।
এখনও পর্যন্ত গোটা রাজ্যে যে গণনা হয়েছে, তাতে ১৮৭ আসনে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল, বিজেপি এগিয়ে ১০০ আসনে আর সংযুক্তা মোর্চা এগিয়ে মাত্র ৫টি আসনে। এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত ভোটের হার অনুযায়ী, তৃণমূল ৫৩%, বিজেপি ৩৪%, সংযুক্ত মোর্চা ৭% ভোট পেয়েছে।
বস্তুত রাজ্যে ক্ষমতা দখলের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা হুগলী। লোকসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে হুগলীতে আশাতীত ভালো ফল করেছিল বিজেপি। এবারের নির্বাচনে তাই চুঁচুড়া কেন্দ্র থেকে বিজেপি দাঁড় করিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা হুগলীর সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। আর প্রচারেও রীতিমতো ঝড় তুলেছিলেন লকেট। লকেট তো কখনও লোকাল ট্রেন, কখনও গরুর গাড়ি, কখনও বা নৌকাতেও প্রচার সেরেছেন। এমনকী বিজেপি ক্ষমতায় এলে লকেটকে মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে বলেও জল্পনা ছড়িয়েছিল। সেই লকেটই এখন পিছিয়ে রয়েছেন। হুগলীর মোট আসন ১৮। আর অন্তত দু রাউন্ড গণনার শেষে অধিকাংশ আসনেই এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল।