প্রায় বছরদুয়েক আগে ইডেনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শেষ বার শতরান করেছিলেন বিরাট কোহলি। এরপর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একাধিকবার পঞ্চাশের গণ্ডি পেরোলেও আর শতরানের মুখ দেখেননি ভারত অধিনায়ক। খানিক হতাশ ভক্তরা। যদিও পাকিস্তানের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান মহম্মদ ইউসুফ মনে করেন, ‘কিং কোহলি’র শতরান করা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। আইপিএল পর্ব মিটলেই আগামী ১৮ই জুন থেকে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলবে ভারত। সেই টেস্ট শেষ হলেই জো রুটের ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচে টেস্ট সিরিজ শুরু হয়ে যাবে। তাই বিরাটের শতরান নিয়ে মহম্মদ ইউসুফ একেবারেই চিন্তিত নন। তবে শচীন তেন্ডুলকরের সঙ্গে বিরাটের তুলনা করতে নারাজত তিনি। সেটাও জানিয়ে দিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান। ইতিমধ্যেই টেস্ট ও একদিনের ম্যাচে ৭০টি (টেস্টে ২৭, একদিনের ক্রিকেটে ৪৩) শতরান করে ফেলেছেন বিরাট।
ইউসুফ জানান, “বিরাটের বয়স সবে ৩২। ও দারুণ ফিট। তাই কয়েকটা শতরান কেন, ও যদি সচিনের মতো শতরানের শতরান করে ফেলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। কিন্তু এত কম বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭০টা শতরান করে ফেলাও মুখের কথা নয়। তাই ওর জন্য কোনও প্রশংসা কম নয়।” পাকিস্তানের হয়ে ৯০টি টেস্ট ও ২৮৮টি একদিনের ম্যাচ খেলা ইউসুফ কিন্তু শচীন ও বিরাটের তুললায় যেতে রাজি নন। এই বিষয়ে তাঁর স্পষ্ট ব্যাখ্যা, “শচীনের বিরুদ্ধে আমি খেলেছি। ও একেবারে অন্য জাতের ব্যাটসম্যান। তাই প্রথমত সচিনের সঙ্গে কারও তুলনা করা উচিত নয়। ওই মানুষটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০টা শতরান করেছে। তাই ওর প্রতি আলাদা শ্রদ্ধা রয়েছে। আর বিরাটের সঙ্গে শচীনের তুলনা তো চলেই না। কারণ দুজনের সময় ক্রিকেট অনেক বদলে গিয়েছে। শচীন বিপক্ষের যে বোলারদের খেলেছে, বিরাটকে কিন্তু সেই সব বোলারদের মোকাবিলা করতে হয়নি। তাই ওদের দুজনের মধ্যে তুলনা করা বোকামি।”