দেশে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। আর তার জেরে রোজই রেকর্ড হারে বাড়ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুমিছিলও। এই পরিস্থিতি একটা প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে ফের সম্পূর্ণ লকডাউনের পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র? কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের এক খসড়া প্রস্তাবে তেমনই ইঙ্গিত করা হয়েছে। ওই খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশের যে যে জেলায় পজিটিভিটি রেট ১৫ শতাংশের বেশি, সেই সব জেলায় লকডাউন ছাড়া সংক্রমণ রোধের উপায় নেই। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। যদিও, এই প্রস্তাব আদৌ কার্যকর হবে কিনা? সেটা ঠিক হবে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের আলোচনার পরই।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগেই জানিয়েছিলেন করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউন হতে চলেছে সরকারের শেষ অস্ত্র। অন্য সবরকম চেষ্টায় কাজ না হলে তবেই এই কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। সেই সঙ্গে দেশবাসীকে প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ করেছিলেন, দেশকে যেন কোনওভাবেই লকডাউনের দিকে ঠেলে না দেওয়া হয়। তবে, এবার সম্ভবত সেই ‘শেষ অস্ত্রে’ই হাত দিতে হচ্ছে কেন্দ্রকে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে দেশের মোট ১৫০টি জেলায় লকডাউনের প্রস্তাব দিয়ে একটি খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, মঙ্গলবার এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ১৫ শতাংশের বেশি পজিটিভিটি রেট আছে এমন ১৫০ জেলায় লকডাউনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবে পরে বদল আনা হতে পারে।
তবে, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিকরা মনে করছেন, এই মুহূর্তে সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে কঠোর করোনা বিধি পালন ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। যদিও, লকডাউন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের আলোচনার পরই। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে দেশের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। বুধবারই আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে। হু হু করে বাড়ছে অ্যাকটিভ কেস। মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, কেরালা, দিল্লী, রাজস্থান, গুজরাত, ছত্তিশগড়, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে অ্যাকটিভ কেস ১ লক্ষেরও বেশি। এই রাজ্যগুলির বহু জেলা তো বটেই, অন্য রাজ্যেরও বহু জেলা সম্ভাব্য লকডাউনের তালিকায় রয়েছে।