দেশে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। আর তার জেরে প্রতিদিনই রেকর্ড হারে বাড়ছে সংক্রমণ। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুমিছিলও। এই পরিস্থিতিতে আগেই করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেমডেসিভিয়ার ওষুধ কালোবাজারি করার অভিযোগ উঠেছিল গুজরাতের বিজেপি রাজ্য সভাপতি সি আর পাটিল এবং মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিশের বিরুদ্ধে। আর তারপর পরই বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে ফ্লু প্রতিরোধী ‘ফ্যাবিফ্লু’ ওষুধ মজুত করে রাখার অভিযোগ ওঠে। এবার করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত এই ওষুধ বিলি করার অভিযোগে দিল্লী হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়লেন গম্ভীর।
মঙ্গলবার দিল্লী হাইকোর্টের বিচারপতি বিপিন সঙ্ঘী ও রেখা পাল্লির ডিভিশন বেঞ্চে একটি মামলার শুনানিতে আদালতের প্রশ্ন, ‘এগুলি প্রেসক্রিপশন ছাড়া কীভাবে বিলি করা হচ্ছে? এই কঠিন পরিস্থিতিতে এত বেশি সংখ্যায় ওষুধ কীভাবে মজুত করা হল?’ এই ওষুধ মজুত রাখার জন্য তাঁর কাছে কোনও লাইসেন্স রয়েছে কিনা জানতে চায় আদালত। আদালতের মন্তব্য, ‘আমরা ভেবেছিলাম এই ওষুধ বিলি বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু দেখছি এটা এখনও চলছে।’ দিল্লী সরকারের তরফে আইনজীবী রাহুল মেহরা আদালতে জানান, অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করছে গৌতম গম্ভীর।
উল্লেখ্য, এর আগেও রাকেশ মালহোত্রা নামে এক আইনজীবী হাইকোর্টকে জানিয়েছিলেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত ফ্যাবিফ্লু ওষুধ বিলি করছেন। সেটা গম্ভীর টুইট করে প্রচার করছেন। রাকেশ মালহোত্রা আদালতে জানান, ‘আমি জানি না তিনি এই ওষুধ কোথা থেকে পাচ্ছেন’, যেখানে করোনা চিকিৎসার ওষুধের আকাল সেখানে তিনি নিজের কার্যালয় থেকে মানুষকে ফ্যাবিফ্লু বিলি করছেন বলে জানা গিয়েছে।