তিস্তার ধারে অবৈধভাবে গজিয়ে উঠেছে একাধিক হোটেল। যেখানে করোনার তোয়াক্কা না করেই ভিড় বাড়াচ্ছে সাধারণ জনতা। তাই সেখানে আজ সকাল থেকে শুরু হয় হোটেল উচ্ছেদ। যেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ রীতিমত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল জলপাইগুড়ি। সেখানে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে স্থানীয়রা। দীর্ঘক্ষণ পর নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, আগাম নোটিস ছাড়াই এদিন হোটেল ভাঙচুর করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গোটা দেশের পাশাপাশি বাংলাতেও করোনা সংক্রমণ অত্যাধিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাও হুঁশ ফিরছে না সাধারণ মানুষের। কোভিড সংক্রমণের তোয়াক্কা না করে রাস্তার ধারে থাকা হোটেলগুলিতে ভিড় করছেন সবাই। করোনা এতটা ভয়াবহ আকার নেওয়া সত্ত্বেও তিস্তা নদীর পারে বিধি ভেঙে বাড়ছে জমায়েত। যা বাড়াচ্ছে সংক্রমণের সম্ভাবনা। সেই কারণেই নদীর চরে অবৈধ ভাবে গজিয়ে ওঠা হোটেল এবং রেস্তোরাঁগুলিকে ভেঙে ফেলার জন্য মঙ্গলবার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ।
বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশ কার্যকর করতে আজ সকাল থেকে তিস্তা পারের অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। স্বাভাবিকভাবেই তাতে বাধা দেন স্থানীয়রা। শুরু হয় কথা কাটাকাটি। ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্থানীয়দের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে তাঁরা।