দেশে যখন জাতীয় বিপর্যয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তখন একজন নীরব দর্শক সেজে কখনোই বসে থাকতে পারে না আদালত। আজ এক মামলার শুনানিতে এভাবেই কেন্দ্রকে তুলোধোনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে অক্সিজেন, টিকা এবং ওষুধ সরবরাহে কেন্দ্রীয় সরকার কী উদ্যোগ নিয়েছে? এই সংক্রান্ত একটা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। আজ সেই মামলার শুনানিতেই কেন্দ্রকে এভাবে কটাক্ষ করেছে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
সেই বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “কোনও হাইকোর্টের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ করতে চায় না আদালত। বরং একজন সহযোগী হিসেবে কাজ করতে চায়।” শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, “এই বিষয়ে মধ্যস্থতা করতে হাইকোর্টগুলো সুবিধাজনক জায়গায় আছে। কিন্তু যেহেতু করোনা সংক্রমণ একটা জাতীয় ইস্যু, তাই এই বিপর্যয়ে আমরা মুখে কুলুপ এঁটে চুপ করে বসে থাকতে পারি না।” এই মামলায় সরকার-আদালতের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত ও মীনাক্ষী আরোরাকে নিয়োগ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
এদিকে, মঙ্গলবারই ২রা মে ভোটগণনার দিন বা তার পরে রাজনৈতিক দলগুলোর বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন। এর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কমিশনকে কড়া নির্দেশ শোনাল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের নির্দেশ, শুধু বিজয় মিছিল বন্ধের নির্দেশ দিলেই হবে না। নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত আধিকারিককে কড়া ভাবে তা প্রয়োগ করতে হবে। এদিন শুনানির শুরুতেই নির্বাচন কমিশন আদালতে জানায়, ২ মে সমস্ত বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গণনার দিন কোনওভাবেই যাতে রাস্তায় বিজয়োল্লাস না হয়, সেই কারণে কমিশনের এই আগাম পদক্ষেপ।