দেশে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। যার জেরে রোজই রেকর্ড হারে বাড়ছে আক্রান্তর সংখ্যা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুমিছিলও। এই পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র সরকার কী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তা জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে যে মামলা সুপ্রিম কোর্ট দায়ের করেছিল তার শুনানিতে কেন্দ্রের কাছে ভ্যাকসিন নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্টও তলব করেছে শীর্ষ আদালত। অক্সিজেন নিয়েও বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে তারা।
প্রসঙ্গত, আজকের শুনানিতে মূলত ২টি বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে পরিকল্পনা ঠিক করতে বলে আদালত। প্রথমত, করোনা সংকটকালে সেনা ব্যবহার করা হবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত। এবং দ্বিতীয়ত ভ্যাকসিনের দাম। বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট কেন্দ্রের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, ‘প্যারা মিলিটারি ফোর্সকে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবহার করতে চাইছে কিনা, চাইলেও কীভাবে। সেনার নিজস্ব হাসপাতাল, চিকিৎসার পরিকাঠামো রয়েছে। প্রয়োজনে সেগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে। এই নিয়ে কেন্দ্র কি কিছু ভেবেছে?’
এদিকে, গত ২ সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে অক্সিজেনের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে সমস্যায় পড়ছেন করোনা রোগীরা। দিল্লীতে অক্সিজেন না পেয়ে মারা গিয়েছেন একাধিক করোনা রোগী। সেই অক্সিজেন সংকট ও সমাধান নিয়ে রিপোর্ট তলব করল কোর্ট। আগামী কয়েক সপ্তাহে দেশজুড়ে কতগুলি অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার দরকার, কোথায় কোথায় দরকার তার বিস্তারিত তথ্যও চেয়েছে আদালত। দেশের এই সংকটময় অবস্থায় আদালত যে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারে না। তারও একটা দায়িত্ব রয়েছে। আজকের শুনানিতে সে কথাও স্পষ্ট করে দিয়েছে আদালত।
অন্যদিকে, ভ্যাকসিনের দাম নিয়ে এখনও দরকষাকষি চলায়, এ নিয়ে কেন্দ্রকে তিরস্কার করে আদালত। বিচারপতি বলেন, ‘করোনা মেটাতে ভ্যাকসিন বানানো হয়েছে। অথচ আজও আমরা তার দাম নিয়ে শুনানি করছি। এটা দুর্ভাগ্যের। এক একটা সংস্থা ভ্য়াকসিনেক এক এক রকম দাম দিয়েছে। আমরা সে কথাও জানি। কিন্তু, এবিষয়ে কেন্দ্র কী করছে?’ এদিন বিতর্কিত স্টারলাইট কপার কোম্পানিকে অক্সিজেন প্রস্তুতের অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, এখন দেশে সংকট চলছে। তাই হানাহানি, বিবাদের সময় নয়। রাজনৈতিক তরজা না করে এখন সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে।