আগেই অবশ্য এই বিদ্রোহী সুপার লিগ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। তবে এতে সমর্থকদের ক্ষোভ অবশ্য কমছে না। বৃহস্পতিবার সকালে ক্যারিংটন গ্রাউন্ডে অনুশীলন চলাকালীন ঢুকে পড়েছিলেন তাঁরা। ম্যান ইউয়ের মালিক গ্লেজার পরিবারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন জনা কুড়ি রেড ডেভিলস সমর্থক। তাঁদের হাতে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল, “দল কখন খেলবে, সেটার সিদ্ধান্ত মালিক নয়, আমরাই নেব।” অন্য একটি ব্যানারে লেখা ছিল, “গ্লেজার্স পরিবারের বিদায় চাই।”
জার্মানির ক্লাবগুলির উদাহরণ দিয়ে তাঁরা দাবি করেছেন, “মালিকানার ৫১ শতাংশ ক্লাবকে দিতে হবে।” তবে অবস্থা বেগতিক বুঝে সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সামলান ম্যান ইউ ম্যানেজার ওয়ে গুন্নার সোলসার, দলের তারকা ফুটবলার নেমানইয়া মাতিচ। এই ঘটনার পরেই ম্যান ইউয়ের তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়, “সকাল ৯টা নাগাদ একদল সমর্থক ক্লাবের অনুশীলন মাঠে ঢুকে পড়েন। ম্যানেজার ও অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা চলে যান।”
এই সুপার লিগের মূল হোতা রিয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট পেরেজ যদিও বলছেন, ১২টি ক্লাব নাম প্রত্যাহার করেনি। তাঁর কথায়, “চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে যাওয়া কোনও ক্লাবের পক্ষেই সম্ভব নয়।” এরপর বিদ্রোহী লিগের প্রধান কর্তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, চুক্তিভঙ্গকারী ক্লাবগুলিকে কি জরিমানা করা হবে? পেরেজ অবশ্য এর কোনও উত্তর দেননি। রিয়াল প্রেসিডেন্ট যোগ করেছেন, “আমি অত্যন্ত হতাশ। প্রায় তিন বছর ধরে আমরা এই লিগের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হয়তো আমরা ঠিক মতো ক্লাবগুলিকে বোঝাতে পারিনি। তা ছাড়া ওরা আমাদের সেই সুযোগও দেয়নি।”
এরপরই তিনি অভিযোগ করেন, এই লিগ বন্ধ করার জন্য হুমকিও না কি দেওয়া হয়েছে। পেরেজ বলেন, “বিগত ২০ বছর ধরে আমি ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। এই ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন কখনও হইনি। মনে হচ্ছিল যে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।” তিনি আরও বলেছেন, “কেউ কেউ মনে করছে, আমরা যেন ফুটবলটা শেষ করে দিচ্ছি। অথচ আমরা কিন্তু ফুটবলকে বাঁচানোর চেষ্টাই করছিলাম। যারা নাম তুলে নিতে চাইছে, তারা নিজেদের ভুল খুব শীঘ্রই বুঝতে পারবে।”