পার্সিপোলিসের বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও শেষ অবধি ২-১ গোলে হেরে গিয়েছিল এফসি গোয়া। আজ, শুক্রবার এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাঁদের বিরুদ্ধেই দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচের আগে খুয়ান ফেরান্দোর উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ফুটবলারদের ক্লান্তি ও এদু বেদিয়ার চোট। গতকাল সাংবাদিক বৈঠক করে হতাশ গোয়া কোচ বলেছেন, “২০ দিনে ছ’টি ম্যাচ খেলা সব দলের পক্ষেই কঠিন। কিন্তু কিছু করার নেই। আমাদের প্রস্তুত থাকতেই হবে প্রতিটা ম্যাচের জন্য।”
গত মঙ্গলবারের ম্যাচ চলাকালীন ৬৭ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন এদু বেদিয়া। চিন্তিত খুয়ান বলেছেন, “এদু আমাদের অধিনায়ক। আগের ম্যাচে ও চোট পেয়েছিল। আমাদের ফিজিওথেরাপিস্ট চেষ্টা করছেন এদুকে সুস্থ করে তোলার।” তবে সুস্থ থাকলেও আজ দলের অধিনায়ক খেলতে পারতেন না আগের ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখায়। খুয়ান অবশ্য চিন্তিত পরের ম্যাচগুলোয় এদুকে পাওয়া নিয়ে।
ফতোরদায় আগের ম্যাচে ১৪ মিনিটে অসাধারণ গোল করে গোয়াকে এগিয়ে দিয়েছিলেন এদু-ই। তবে চার মিনিটের মধ্যেই সমতা ফেরান মাহদি তোরাবি। এরপর ২৪ মিনিটে পার্সিপোলিসকে ২-১ এগিয়ে দেন সৈয়দ জালাল হোসেইনি। হারের পরে গোয়া কোচ খোলাখুলি জানিয়েছিলেন, এশিয়ার অন্যতম সেরা দলের বিরুদ্ধে স্নায়ুচাপেও ভুগছিলেন গ্লেন মার্টিন্সরা। এই কারণেই ম্যাচের মধ্যে অসংখ্য ভুল করেছেন গোয়ার ফুটবলারেরা।
তবে শুক্রবার কি তাঁরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন? খুয়ানের কথায়, “আগের ম্যাচের নিরিখে এ বারের রণকৌশল ঠিক করতে হবে। ভাল ফল করার আশা নিয়েই আমরা মাঠে নামব। কোচ হিসেবে আমার দায়িত্ব সেরা দল নির্বাচন করা।” তিনি যোগ করেছেন, “এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা সহজ নয়। প্রত্যাশার চাপও প্রচুর থাকে। ছেলেদের খেলায় আমি খুশি হলেও মনে করি, ওদের আরও উন্নতি করতে হবে। কারণ, আগের ম্যাচে আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারিনি বলেই হেরে গিয়েছিলাম।”