করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে জেরে বেলাগাম ভাবে সংক্রমণ বাড়ছে ভোটের বাংলাতেও। এই পরিস্থিতিতে বাংলায় শেষ দুই দফার ভোটের প্রচারে রাশ টেনেছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদিও আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন কলকাতায় আর কোনও বড় সভা বা কর্মসূচী করবেন না তিনি। সর্বত্র বক্তৃতাও হবে ছোট। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ভার্চুয়াল প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এদিকে আজই বড় চমক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে হাজির হচ্ছেন যুব তৃণমল সভাপতি তথা ডায়মণ্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে ভার্চুয়াল প্রচারে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে জোরদার টক্কর হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রোড শো ও র্যালির ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। হাইকোর্টে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ভোটের প্রচার জারি রাখা নিয়ে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ে নির্বাচন কমিশন। তারপরেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যদিও করোনা পরিস্থিতি দেখে সভা, রোড শো না করার কথা আগেই ঘোষণা করেছেন মমতা। কলকাতায় ২৬ তারিখ একটি প্রতিকী সভা করবেন তিনি। এর বাইরে আর কোনও রোড শো, মিটিং, মিছিল তিনি করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। অনেক দেরিতে হলেও সেই পথেই হাঁটতে বাধ্য হয়েছে বিজেপিও। মোদী এবং শাহ দুজনেই সশরীরে সভায় উপস্থিত থাকবেন না বলে জানিয়েছেন। তারা ভার্চুয়াল সভা করবেন।
আবার দলনেত্রীর পথে হেঁটেই সভা, রোড শো, মিছিল করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন অভিষেক। ভার্চুয়াল প্রচার করবেন তিনি। গত কয়েকদিন যেভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে উদ্বেগ জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এ রাজ্যেও। সেই কারণেই শেষ দুই দফায় ভার্চুয়াল প্রচার সারবেন যুব তৃণমূল সভাপতি। শেষ দুই দফার ভোটে ভার্চুয়াল প্রচারেও একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার তোড়জোর শুরু করে দিয়েছে দুই শিবিরই। একদিকে মোদী-শাহ যেমন ভার্চুয়াল জনসভা করবেন। অর্থাৎ জনসভায় লোক থাকলেও তাঁরা ভার্চুয়াল বার্তা দেবেন। ঠিক তেমনই অভিষেকও শুক্রবার সন্ধেবেলা নতুন চমক নিয়ে হাজির হচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভার্চুয়াল প্লাটফর্মেও সরাসরি জনসংযোগের উপায় বেছে নিয়েছেন তিনি।