দেশজুড়ে করোনার সেকেন্ড ওয়েভের মধ্যেই বর্তমানে রেল হাসপাতালগুলিতে ভ্যাকসিনের অভাব দেখা দিয়েছে। কোনও কোনও হাসপাতালে তা চরমে ওঠায় সকাল থেকে বিক্ষোভও শুরু হয়। লিলুয়া রেল হাসপাতালে ভ্যাকসিন সঙ্কটের জেরে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ হয়েছিল বেশ কয়েকদিন আগেই। এবার দ্বিতীয় ডোজেও সঙ্কট দেখা দেওয়ায় বুধবার সকালে ভ্যাকসিন নিতে আসা মানুষজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
নির্ধারিত সময়ে ভ্যাকসিন না নিলে সমস্যা বাড়তে পারে। সেই আশঙ্কায় ক্ষোভ বাড়তে থাকে। বিক্ষোভ সামলাতে আরপিএফ জওয়ানদের পাঠানো হয়। পরে একশোজনকে ভ্যাকসিন দেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজ্য থেকে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না দেওয়ায় সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে হাসপাতালকে। বি আর সিং হাসপাতালে এখনও সঙ্কট দেখা না দিলেও টিকার পর্যাপ্ত জোগান নেই বলেই খবর। ভ্যাকসিনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার সায়ন্তন সাহা বলেন, “৫ নম্বর বোরো থেকে এখানে জোগান আসছে। দৈনিক ৫০০ জনকে দেওয়া হলেও মঙ্গলবার সেই সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। ৬৭৪ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।”
হাওড়া অর্থোপেডিক হাসপাতালে দৈনিক ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। চাহিদা বাড়লেও সেই তুলনায় জোগান কম। ফলে সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে তাদেরও। একই সমস্যা উত্তর ২৪ পরগণার কাঁচরাপাড়া রেল হাসপাতালেও। রেলকর্মীদের পাশাপাশি বাইরের লোকজনদেরও সমান তালে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে এই হাসপাতালগুলিতে। বিআর সিং হাসপাতাল কলকাতায় হওয়ায় সমস্যা তেমন না হলেও জেলার মধ্যে থাকা রেল হাসপাতালগুলিতে সমস্যা চরমে উঠেছে।