দেশে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। আর তার জেরে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে আড়াই লক্ষ। একইভাবে ভোটের আবহে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে। গতকালই বাংলায় প্রায় সাড়ে আট হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন মারণ ভাইরাসে। তবে, এদিন মালদায় সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘এখনই লকডাউনের কোনও চিন্তা নেই। লকডাউন করলেই কি সব কমে যাবে? মানুষকে একটু সময় দিতে হবে না?’
তবে, সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি এ রাজ্যে ভোটের নিরাপত্তায় আসা কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সমস্ত জওয়ানকে বাধ্যতামূলক ভাবে করাতে হবে আরটিপিসিআর টেস্ট। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেড় লাখ জওয়ান এসেছেন। তাঁদের প্রত্যেকের আরটিপিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলকভাবে করাতে হবে। আগের বারই দেখেছিলাম, একজন পুলিশের হওয়া মানে হাজার জন সংক্রমিত হওয়া। ওরা টিম হিসেবে কাজ করেন। তাই একজনের হলে সবার হতে পারে।’ এদিন নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশেও মমতা বলেন, ‘নির্বাচন ঘোষণার সময় ভাল করে ভাবা উচিত ছিল, কেন্দ্রীয় সরকারেরও ভাবা উচিত ছিল। আমরা চেষ্টা করব, ঝড় মোকাবিলা করার। ভয় পাবেন না, আতঙ্কিত হবেন না।’
উল্লেখ্য, এর আগে রাজ্যে করোনা ছড়ানোর ‘জন্য’ বিজেপি ও তাঁদের ‘বহিরাগত’দের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন মমতা। এদিন তিনি বলেন, ‘বাইরে থেকে হাজার হাজার লোক আসছে, করোনা সেখানেও ছড়াচ্ছে। লকডাউন করলে তো মানুষের কষ্ট হবে।’ এদিন ফের নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে মমতার বার্তা, ‘আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করেছিলাম, শেষ দফার নির্বাচন একসঙ্গে করতে, কিন্তু করা হয়নি। তাই অসুবিধা হয়েছে। বিহারে তিনটি দফা হয়েছে, বাংলায় কেন ৮টি দফা? আর করোনা এখন অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছে, এখন তো ভাবা উচিত। বাইরে থেকে অনেক লোক আসছে, সেই কারণে করোনা সংক্রমন ছড়াচ্ছে। বাজারে অনেক ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। টিকাও পাওয়া যাচ্ছে না।’